Blog

  • না পারলে একা অন্যথায় যৌথ ভাবেই ব্যবসা করবেন এমন একটা মাইন্ডসেট তৈরি করুন

    একটা সাইট – এফিয়েলট, অথরিটি ব্লগ, ই-কমার্স, সার্ভিস কিংবা প্রোডাক্ট 
    যাই হোক একটা বিজনেস। এই বিজনেস কে সফল করতে অনেক কিছু লাগে।

    আইডিয়া, স্কিল এবং ফান্ড। নানা ধরনের স্কিল, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। অনেকেই ইন্ডিভিজুয়ালি শুরু করে সফল হয়েছে। কিন্তু বেশির ভাগ মানে ৯০% এর ক্ষেত্রেই দেখা যায় ফেইলড।

    কারন সাফল্য অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। চেষ্টা করলে আর স্কিল থাকলেই সফল হবে এমন কিন্তু না। বাজার, ইকোনোমি, কম্পিটিশন সহ নানা এক্সটারনাল ফ্যাক্টর সাফল্যকে প্রভাবিত করে। এই সবের বেশির ভাগই উদ্যোক্তার নিয়ন্ত্রনে থাকে না।

    তাই অনেক সময় সাফল্য পরিশ্রম, অর্থ আর দক্ষতার উপর নির্ভর করে না। ব্যবসা মানে রিক্স। এই রিক্সকে আগে থেকে কমিয়ে আনার বিষয় সচেস্ট হলে সফল না হলেও ক্ষতি একেবারে কমিয়ে ফেলা যায়। আমার মতে বাংলাদেশী মানুষের একটা বড় সমস্যা হলো যৌথ উদ্যোগে ব্যবসা করা। আমরা সেটা জানি না। পারি না।

    কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না। আর বিশ্বাস করলে অবিশ্বাস করার মতো ঘটনা সে ঘটাবেই। এটা সাইকোলজিক্যাল, কালচারাল আর সোসিও ইকোনোমিক্যাল সমস্যা। ব্যবসার জন্য বড় ধরনের দুর্বলতা। এই দুর্বলতাকে সক্ষমতায় রূপান্তর করতে পারলে ব্যবসার যে করুনদশা শুনি আমার মতে অনেক অংশই কমে যাওয়ার কথা। যাবেও।

    আমি অনেক গুলো কারনেই যৌথ অংশীদারে ব্যবসা করার বিষয়ে সবাইকে সিরিয়াসলি চিন্তা করতে বলবো ।

    কারন গুলো কিছু কিছু গত কালের আলোচনায় আমি বলেছি। যারা উপস্থিত ছিল তারা নিশ্চয় সেই গুলো জানে। আরও কিছু পয়েন্ট আছে। সময় করে লিখবো। কারন আমি বিশ্বাস করি কয়েকজনের সম্মিলিত শক্তি এখন অনেকটাই অত্যাবশকীয়।

  • নিশ সাইট তৈরিঃ আগের মতো করে আদৌ সফল হওয়া যাবে?

    আজ সকালে একটা মিটিংয়ে কথা হচ্ছিলো একজন মার্কেটারের সাথে। তিনি বলছেন তিনি একটু হতাশ কারন বেশ কয়েক বছর চেস্টা করছে একটা প্রফিটেবল সাইট তৈরি করতে কিন্তু কখনই সফল হউন নাই। উনি মনে করছেন উনি যা করছেন তা ঠিক না।

    উনার আরো কিছু শিখতে হবে।

    ঢাকায় মিটআপে আমি এই কথাটাই বলেছিলাম যে আপনারা যারা এখনো ২০১২ সালের নিশ পারসুইটের স্ট্রাটেজি ফলো করে নিশ সাইট তৈরি করার চেস্টা করছেন তাদের সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।

    ২০১২ সালের গুগল এলগরিদম আর ২০১৯ সালের এলগরিদম একই না। আবার কম্পিটিশনও অনেক চেঞ্জ। তখন মাত্র কয়েকটা বড় রিভিও সাইট ছিলো যেমন টপটেনরিভিও, কনজিউমাররিপোর্টস ইত্যাদি।

    এখন এই মানের বহু সাইট রয়েছে।

    দ্যা সুইটহোম (ওয়ারকাটার) আলাদা একটা মডেলের রিভিও সাইট। তাদের সাফল্য দেখে অনেকেই একই মডেলে সাইট তৈরি করেছে।

    বড় বড় সাইট গুলোও এখন ছোট ছোট প্রোডাক্টকে নিয়েও রিভিও করে।

    অনেক ছোট সার্চ ভলিয়মের কিওয়ার্ড নিয়ে রিভিও লেখে।

    তাদের যে পরিমানে বাজেট থাকে তাতে এখন ৫০০/১০০০ ডলার ইনভেস্ট করে সাইট তৈরি করে সফল হওয়া অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং।

    এছাড়া গুগলের এলগরিদম এখন ভিন্ন। আগে লং টেইল কিওয়ার্ডকে টার্গেট করে র‍্যাঙ্ক করা গেলেও এখন ঠিক সেই ভাবে র‍্যাঙ্ক করা কঠিন।

    গুগলের EAT ফ্যাক্টর একটা সিগনাল দিচ্ছে যে কে কনটেণ্ট লিখছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।

    আরো মজার বিষয় হচ্ছে গ্রামাটিক্যাল এররো একটা নেগেটিভ র‍্যাঙ্ক ফ্যাক্টর। খুব হাই বাউন্স রেট একটা নেগেটিভ ফ্যাক্টর। ৫০০ ওয়ার্ডের আর্টিকেল ৫ ডলার কিংবা ১০ ডলার দিয়ে লিখে নিশ সাইট করার সুযোগ এখন নাই বললেই চলে।

    কোয়ালিটি কনটেণ্ট এখন থাকতেই হবে।

    লং ফরম কনটেণ্টই এখন স্টান্ডার্ড। গুগল লাইক করে। এছাড়া নানা রকম লং টেইল কিওয়ার্ড দিয়ে র‍্যাঙ্ক করার সুযোগ থাকে।

    আমার মতে এখন কেউ ১০০০০ ডলারের নিচে খরচ করার টার্গেট করলে ১০০ জনের মধ্যে ১ জন হয়তো সফল হবে। বাট সেটাও ফিউচারে রিস্ক থাকবে।

    রিসেন্ট ট্রেন্ড হলো টপ টেন প্রোডাক্টের রিভিও পেইজ গুলো মিনিমাম ৪০০০ ওয়ার্ড হয়। অনেক ক্ষেত্রে ৫০০০ ওয়ার্ড।

    ৫০০০ ওয়ার্ডের একটা কনটেণ্ট তৈরিতে খরচ কমপক্ষে ১৫০ ডলার।

    ১০০০০ ডলারের হয়তো ৬৬টা কনটেণ্ট পাবলিশ করা যাবে।

    লিঙ্ক সহ অন্য খরচ কোথা থেকে আসবে ?

    একটা কোয়ালিটি লিঙ্ক তৈরি করতে কমপক্ষ্যে ৫০ থেকে ৭০ ডলার লাগবে।

    খেয়াল করে দেখুন ১০,০০০ ডলারেও হচ্ছে না।

    লিঙ্ক তৈরির জন্য হয়তো ৩ থেকে ৪ হাজার ডলার বাজেট রাখতে হচ্ছে।

    এরপর যে আয় হবে তা যদি কারো সাইড ইঙ্কাম হয় তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু সাইটের আয় তার মূল ইঙ্কাম হলে একটু রিস্ক থাকে। কারন সাইট তৈরি করে আয় শুরু হলেও সব আয় নিজের জন্য ব্যয় করা যাবে না। সাইটের ক্রমাগত উন্নোয়নে ব্যয় করতে হবে।

    সব কিছু বিবেচনা করলে ৩০ থেকে ৪০ হাজার ডলার টার্গেট করতে হবে।

    এই টাকাও ওয়েস্ট হবে যদি নিচের বিষয় গুলোতে টপ লেভেলের দক্ষতা না থাকেঃ

    • কিওয়ার্ড রিসার্স ও টপিক সিলেশন
    • কনটেণ্ট ক্রিয়েশন
    • এসইও 
    • লিঙ্ক
    • সোশ্যাল ট্রাফিক জেনেরেশন
    • মনেটাইজেশন স্ট্রাটেজি

    সমস্যা হলো একা এতো টাকার রিস্ক নেয়া সম্ভব অনেকের ক্ষেত্রে সম্ভব হবে না। তাই আমার মতে একাধিক পার্টনার নিয়ে একটা ফান্ড তৈরি করে এগুতো হবে। এতে অনেক দিকে সুবিধা আছে। দেখা যায় একটা সাইট সফল করার জন্য অনেক সময় লাগে, অনেক স্কিল লাগে।

    একা সামলিয়ে উঠা সম্ভব না। একাধিক উদ্যোক্তা থাকলে একেকজন একটা অংশের দ্বায়িত্ব নিয়ে কাজ করলে বিষয় গুলো সহজ হয়।

    অনেক বাজেট নিয়ে সাইট তৈরি করার পর যদি ভালো না করে তাহলে কি হবে?

    কেউ ৫০,০০০ ডলার খরচ করে সাইট তৈরি করলে সেই সাইট থেকে ২ হাজার ডলার আয় হলেই তার কোন রিক্স থাকে না। কারন ২০০০ ডলার আয় হয় এমন সাইটের বিক্রয় মূল্য ৬০০০০ ডলার হবে।

    ৫০০০০ ডলার খরচ করলে আয়ের টার্গেট করা যদি মিনিমাম ৫ হাজার। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তার চেয়ে বেশি হবে।

    রিক্স এড়ানোর জন্য অনেক স্ট্রাটেজি নেয়া যায়। তবে একটা বিষয় আমি সাজেস্ট করবো সেটা হলো স্টার্টআপ গুলো কিভাবে তৈরি হয় সেই বিষয় গুলো নিয়ে পড়াশুনা করা।

  • কনটেণ্ট ইজ কিংঃ কনটেণ্ট তৈরির স্কিলের গুরুত্ব কেমন?

    কনটেন্ট তৈরি করার স্কিল অনলাইনে যে কোন কিছু করার জন্য আপনার মতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ? মানে কতটা ভ্যালুয়েবল? কতটা রিওয়ার্ডিং? এমন একটা প্রশ্ন করেছিলাম বিডিএসইও গ্রুপে। অনেকেই এই স্কিলের গুরুত্ব সম্পর্কে মত দিয়েছে।

    আমার মতেঃ

    কনটেন্ট ক্রিয়েশন অনলাইনের জন্য খুবই গুরুতপূর্ণ। খেয়াল করে দেখবেন দেশে অনেক প্রোগ্রামার তৈরি হয়েছে, ডিজাইনার তৈরি হয়েছে, মার্কেটার তৈরি হয়েছে, সেই অর্থে কনটেন্ট ক্রিয়েটর/রাইটার তৈরি হয়নি।

    কারন অনেক হতে পারে। কনটেণ্ট তৈরি করার দক্ষতা তৈরি একটু ভিন্ন। ইংরেজীতে আমাদের দূর্বলতা হয়তো একটা সমস্যা। আরেকটা সমস্যা ছিলো আমাদের এডুকেশন সিস্টেমে। মুখস্থ করে পরীক্ষা দেয়ার কারনে সৃজনশীলতা কাজ করে না।

    এই গুলো সবই অভারকাম করা যায় যদি চেস্টা করা হয়।

    কনটেণ্ট নিয়ে তেমন আলোচনা হয় না। গুরুত্ব দেয়া হয় না। সুযোগের কথা, প্রয়োজনীয়তার কথা নিয়ে কথা হয় না। কেউই করে না।
    যারা এন্ট্রেপ্রেনিয়র তারা বলে না। যারা সিনিয়র তারাও বলে না।

    ওয়েবের টপ স্কিল হলো কনটেণ্ট তৈরি করার ক্ষমতা। কেউ যদি তা করতে পারে ডেফিনিটলি সে আর্ন করবেই। ডিজাইনার, মার্কেটার, প্রোগ্রামার যাই হোক তার রাইটিং স্কিল লাগবে নিজেকে তুলে ধরতে। তার সার্ভিস সেল করতে।

    না পারলে করা যায় না তা না। বিভিন্ন ভাবেই হয়। প্রত্যেকে আসলে কনটেণ্ট তৈরি করে। ডিজাইনই একটা কনটেণ্ট। স্ক্রিপ্টই একটা কনটেন্ট।

    কিন্তু সেই কনটেণ্টকে মানুষের কাছে পৌছানোর জন্য যে কনটেণ্ট সেটা করতে পারলে সাফল্য অনেক বেশি আসে।

    লেখা অর্ডিয়েন্স তৈরি করে। অর্ডিয়েন্স তৈরি করতে পারলে নানা রকমের আয়ের সুযোগ থাকে। ওয়েবে কনটেণ্টই কিং। সো এই বিষয়টা খুবই গুরুত্ব দিয়ে দক্ষতা তৈরির চেস্টা করা উচিত।

    বিডিএসইও গ্রুপের আলোনাটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন।