Blog

  • স্পেনসার কিভাবে কিওয়ার্ড আইডিয়া খুজে পায়?

    স্পেনসার কিভাবে কিওয়ার্ড আইডিয়া খুজে পায়?

    স্পেনসার হলো কনটেণ্ট সাইটের সবচাইতে বিগ ব্রান্ড। উনিই প্রথম নিসপারসুটডটকমের মাধ্যমে লংটেইল কিওয়ার্ড ফোকাস সাইট তৈরিকে বিপুল সংখ্যক মার্কেটারের কাছে পৌছে দিয়েছে।

    স্পেনসারের সাফল্যের কারন কিওয়ার্ড রিসার্চ। তার বর্তমানের পাবলিক সাইট owntheyard.com এর কিওয়ার্ড গুলো এনালাইসিস করলে অনেক কিছুই শেখার আছে।

    যেমন ধরুন তার সাইটটা একটা ইয়াড নিয়ে।

    সাইটের একটা কিওয়ার্ড হলো bbq party games ideas for adults।

    প্রশ্ন হচ্ছে এই কিওয়ার্ড আইডিয়াটা সে কিভাবে পেলো?

    এই ধরনের কিওয়ার্ড আইডিয়া খুজে পাওয়ার মাধ্যমেই আসলে নিশ সাইটের সাফল্য নিহিত। যারা কিওয়ার্ড রিসার্চ শিখতে চায় তাদের এই বিষয়টা ভালো করে বুঝতে চেস্ট করতে হবে। আবার অনেক পুরানো নিশ সাইট এন্ট্রেপ্রেনিয়রদের জন্য বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ।

    অধিকাংশ ক্ষেত্রে একটা নিশ খুজে পাওয়ার পর সবাই সেই নিশের কিছু কিওয়ার্ডকে বেইজ ধরে রিসার্চ করে। কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস গুলো সেই কিওয়ার্ড গুলোকেই দেখায় যে গুলোতে কিওয়ার্ডটি কোন না কোন ভাবে উপস্থিত। ধরুন kichen knife কারো নিশ, তখন তিনি কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলসে kichen knife ব্যবহার করে কিওয়ার্ড খুজে পাওয়ার চেস্টা করবে। এতে করে সে যে অল্প কিছু ভাল কিওয়ার্ড খুজে পায়। যেই কিওয়ার্ড গুলো আবার অনেকে টার্গেট করে।

    ভালো করার জন্য ভালো পরিমানে ভালো কিওয়ার্ড লাগবে। ভালো কিওয়ার্ড বলতে যেই গুলো আপনি সেই কারনেই নিবেন যে গুলোর জন্য আপনি র‍্যাঙ্ক করবেন এটা প্রায় নিশ্চিত। স্পেন্সারের টেকনিকটা সেটা। অনেক পরিমানে ভালো কিওয়ার্ড খুজে পায়।

    এনালাইসিস করে সেই পদ্ধতিটা বের করা যাবে। এখানে তাই করার চেস্টা করবে। যদি এই প্রসেসটা কেউ আয়ত্ত্বে আনতে পারে তাহলে সে তার সাইট নিয়ে ভালো করার সম্ভাবনা বেশ কয়েক গুণ বাড়িয়ে ফেলতে পারবে।

    আমি চেস্টা করবো আমার বিশ্লেষন গুলো এখানে তুলে ধরতে। উল্লেখ্য যে এই ধরনের বিশ্লেষন সময় নিয়ে ও আরো বিস্তারিত ভাবে করা সম্ভব। আমি আমাদের ইন্টার্নাল টিমকে এই বিষয়ে এখন প্রশিক্ষিত করার চেস্টা করছি।

    প্রতিদিনই এই বিষয় গুলো নিয়ে নতুন নতুন বিশ্লেষন আমি হয়তো তাদের কাছে তুলে ধরবো। শেয়ার করা যায় এমন বিষয় গুলো আমি এই পেইজে যোগ করবো।

    আপনার আগ্রহ থাকলে আপনি মাঝে মাঝে এই পেইজে ভিজিট করতে পারেন।


    bbq party games ideas for adults এর বিশ্লেষনঃ

    SEMRush থেকে নেয়া কিছু তথ্যঃ

    • Volume 880
    • Keyword Difficulty 16%
    • Easy

    বর্তমানে গুগলের প্রথম পেইজে যারা র‍্যাঙ্ক করেঃ

    • owntheyard.com/bbq-party-games-ideas-for-adults/
    • smokeygrillbbq.com/bbq-party-game-for-adults/
    • groupgames101.com/bbq-party-games-ideas-for-adults/
    • smartyardguide.com/barbecue-party-games-ideas-for-adults/
    • igra-world.com/bbq-party-games-ideas/
    • pinterest.com/pin/755619643700797048/
    • yardsurfer.com/barbecue-party-games/
    • yardandgardenguru.com/bbq-party-games-ideas-for-adults/
    • whichtobuy.co.uk/bbq-party-games-for-adults/
    • farmfitliving.com/9-diy-summer-backyard-games-for-outdoor-picnics-and-bbqs/
      farmfitliving.com

    বিশ্লেষণঃ আমার মতেঃ স্পেনসার এই কিওয়ার্ডটি নির্বাচনের কারন

    • রিলেভেন্ট
    • লংটেইল
    • ইজি কম্পিটিশন
    • সার্চ ভলিয়ুম ভালো

    তবে অন্যতম কারন ছিলো সার্চ কম্পিটিশন ইজি ছিলো। এখনও যদি খেয়াল করেন তাহলে দেখতে পাবেন অধিকাংশই নিশ কনটেণ্ট সাইট। দুই একটা সোশ্যাল সাইট আছে। যে নিশ সাইট গুলো দেখতে পাচ্ছেন তাদের দুই একটা কে অনসরণ করে বানিয়েছে। একথা নিশ্চিত বলা যায় শুরুতে সার্চ রেজাল্ট আরো দূর্বল ছিল।

    আইডিয়াটা কোথায় পেলো আর সাইটের থিমের/আলোচনার বিষয়ের সাথে এই টপিকের সম্পর্ক –

    bbq party games ideas for adults এই কিওয়ার্ডটির সাথে সাইটের সম্পর্ক হলো এই প্রোগ্রামটি অবশ্যয় ইয়ার্ডে অথ্যাৎ বাড়ীর আঙ্গিনায় বা বাগানেও করা যায়। সম্পর্ক বলতে এই টুকুই। কোন না কোন সোর্স থেকে এই কিওয়ার্ডটি যখন পেলো তখন একটা এঙ্গেল তৈরি করে সাইটের মুল সাবজেক্টের সাথে একটা সম্পর্কে যোগ করে কিওয়ার্ডটি নিয়ে লিখেছে কারন স্পেনসার নিশ্চিত ছিল সে এই কিওয়ার্ডটি জন্য প্রথমেই র‍্যাঙ্ক করবে। এই ধরনের কিওয়ার্ড অবশ্যয় যে কোন সাইটের জন্য উইনিং কিওয়ার্ড।

    কোথা থেকে এই কিওয়ার্ডটি পেলো- সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

    বেশ কয়েক ভাবে পেতে পারে। কিছু ভালো ব্যাখ্যা প্রয়োজন। আমি এই নিয়ে আরো বিচার বিশ্লেষন করছি। শীগ্রই গুছিয়ে এই বিষয়ে এখানে লিখবো।


    লক্ষ্য করুনঃ পেইজটি নিয়মিত ভাবে আপডেট হবে। আপটেড বন্ধ হলে এই প্যারাগ্রাফটি উঠিয়ে দিবো।

  • ২০ অফিস এটিকেট যা প্রত্যেক ব্যাক্তির মেনে চলা উচিত

    ২০ অফিস এটিকেট যা প্রত্যেক ব্যাক্তির মেনে চলা উচিত

    আমরা যারা অফিসে বসে কাজ করি তাদের বাসার চেয়ে বেশিরভাগ সময় কাটে অফিসের ডেস্কের সামনে বসে। ওয়ার্কপ্লেস এটিকেট কো-ওয়ার্কারদের কাজে স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিতে সাহায্য করে। সুতরাং ভালো অফিস এটিকেট খুবই গুরুত্বপুর্ন।

    অফিসে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে নিচের রুলস গুলো ফলো করা উচিত।

    1. আপনার রুমে যদি দরজা থাকে, তাহলে তা বন্ধ করে কথা বলুন যদি আপনার কোন পারসোনাল কল আসে। আর যদি ওপেন কোন স্পেসে কাজ করেন, তাহলে কল রিসিভ করে বলুন যে তাকে ব্রেক টাইমে আপনি ফোন দিবেন অথবা আপনি বাইরে গিয়ে বা অফিসের রেস্টরুমে গিয়ে কথা সেরে আসুন।
    2. আমরা স্মার্টফোন, ট্যাবলেট বা তার যুক্ত কোন ডিভাইসের সাথের এতই এটাচড হয়ে যাচ্ছি যে এগুলো থেকে ডিসকানেক্ট থাকা খুবই কঠিন। অফিসে মোবাইল ফোন ইউজ করে কাজের প্রোডাক্টিটি বাড়ানো যায় না। সুতরাং ফোন সাইলেন্ট বা ভাইব্রেট মোডে রাখুন, যাতে প্রতিবার আপনি মেসেজ বা ইমেইল পাওয়ার পর যেন এটা আপনার ফ্লোরের সবাইকে এলার্ট না করে।
    3. ফোনে সময় নিয়ে কথা বলতে কনফারেন্স রুম ব্যবহার করবেন না বা এটাকে নিজের পারসোনাল অফিস মনে করবেন না।
    4. সবসময় বাথুরুম পরিস্কার রাখবেন , রেস্টরুমকে আড্ডার জায়গা বানাবেন না যদি না আপনার মাকে যদি কল করতে হয় বা অফিসের কোন কল যদি রিসিভ করতে হয় ।
    5. যদি আপনি মিটিংয়ে থাকেন, যে মানুষটি কথা বলছে পুরো মনযোগ তার দিকে দিন। যদি আপনাকে ফোনে বা কম্পিউটারে কোন শর্ট নোট পাঠাতে হয় বা কিছু চেক করতে হয়, তাহলে যথাসম্ভব তা ছোট রাখবেন।
    6. যদি সবাই মজার মধ্যে থাকে, তাহলে উচ্চস্বরে কথাবার্তা যথাসম্ভব কম বলবেন। চেষ্টা করবেন ছোট ভয়েসে কথা বলতে।
    7. অফিসে বসে লাঞ্চ করার সময় অন্যদের কথা চিন্তা করবেন যারা আপনার আশেপাসেহ বসে আছে। ঘ্রাণ ছড়ায় এমন খাবার এভয়েড করবেন।
    8. মনে রাখবেন অফিসের কিচেনে মাইক্রোওয়েভ বা চুলায় খাবার গরম করার জন্য বেশি সময় নিবেন না। কারন অন্যদেরও অফিসের কিচেন ব্যবহার করতে হয়।
    9. কেউ যদি খাবার অফিসের অন্যদের সাথে খাবার শেয়ার করতে চায়, তাহলে সবকিছু পরিস্কার না করে চলে যাবেন না। নিজের প্লেট নিজে ধুয়ে রাখবেন।
    10. আপনি যদি অসুস্থ থাকেন বা সংক্রামক কোন রোগে আক্রান্ত হোন, আপনার কর্মস্থলে থাকা উচিত নয়। অন্যথাত অফিসের সবাই অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।
    11. reply-all বাটনে ক্লিকের আগে চিন্তা করুন সবার কি আপনার নোট কি পড়ার দরকার আছে?
    12. ইমেইল টোন বুঝা আসলে কঠিন। রিসিপেন্ট যে ভাষায় লিখলে সহজে বুঝবে সে ভাষায় লিখুন। প্রয়োজনে যতিচিহ্নের ব্যবহার করুন। ”Really appreciate your help! Thank you, Michael” লিখা “Thanks. Michael” লিখার চেয়ে ভালো।
    13. লিফটের দরজা ব্লক করে রাখবেন না। যদি লিফট ফুল হয়ে যায়, আপনি দরজার সামনে থাকেন এবং কেউ বের হতে চায়। তাহলে আপনি একটূ লিফট থেকে বের হয়ে আবার প্রবেশ করুন।
    14. দরজা খোলার সময় আপনার সামনে কেউ থাকলে তাকে আগে সুযোগ দিন। একইভাবে একসেসের জন্য কার্ড সোয়াইপের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।অপেক্ষা করুন প্রথম ব্যাক্তি যতক্ষন পর্যন্ত না যায়।
    15. এটিকেট অনেকটা জেন্ডার নিউট্রাল হয়ে গেছে । আপনি আর আপনার বস বা বসের বস একই সময়ে দরজা বা লিফটে প্রবেশ করেন, দরজা খুলে আটকে রাখুন এবং তাদের আগে যেতে দিন।
    16. সবসময় সময় মেনে চলা যখন অসম্ভব হয়ে পড়ছে , সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিকে জানিয়ে দিন যে আপনার লেট হবে। আপনার যদি মনে হয় আপনার সামান্য লেট হবে, তাইলে ২মিনিট সময় চেয়ে নিন। আপনার যদি মনে হয় ১০-১৫ মিনিট লেট হবে। তাহলে ২০মিনিট আগে ইমেইল করে রাখুন তাহলে তার কাজে শিডিউল করে রাখতে সুবিধা হবে।
    17. আপনার gardenia-bomb perfume পছন্দ হতে পারে, কিন্তু অফিস সুগন্ধীযুক্ত সেন্ট ব্যবহার করার জায়গা নয়।কারন এটা পুরো রুমে ছড়িয়ে যেতে পারে যা অন্যদের পালস পয়েন্টে লাগতে পারে।
    18. সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে, মনে রাখবেন কোন কিছুই প্রাইভেট নয়। আপনার কলিগ বা কাজ সম্পর্কে ফেসবুক বা টুইটারে কমপ্লেইন করবেন না।
    19. আপনার কলিগের সাথে যতই ফ্রেন্ডলি হোন না কেন, সতর্ক থাকবেন যেন বাউন্ডারি ক্রস না করেন। আপনি আপনার টিমের সাথে যতই ক্লোজ হোন না কেন, পারসোনাল লাইফ নিয়ে অতিরিক্ত কিছু শেয়ার করা খুবই আনপ্রফেশনাল।
    20. ডেস্কে কফি কাপ, ফাইলপত্র, টুকরো কাগজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলে তা আপনাকে এবং অন্যদের কাজে ব্যহত করবে। আপনি যদি অফিস ডেস্ক পরিস্কার ও গুছিয়ে রাখতে না পারেন, তাহলে কিভাবে আপনি আপনার কাজগুলো ম্যানেজ করবেন?আপনার অফিস ডেস্ক আপনার প্রফেশনালিজমকে রিফ্লেক্ট করবে। সুতরাং অফিস ডেস্ক নিট এন্ড ক্লিন রাখুন।
  • ইমেইল এটিকেটে যা করবেন ও করবেন না

    ইমেইল এটিকেটে যা করবেন ও করবেন না

    আমাদের কর্মময় জীবনের একটা গুরুত্বপুর্ন অংশ জুড়ে রয়েছে ইমেইল।৯০ এর দশকের পর থেকে ইমেইল যখন কমন হয়ে যোায়,তারপর থেকে পুরো বিজনেস ওয়ার্ল্ড চেঞ্জ হয়ে গেছে। ইন্টারন্যাশনাল ডাটা কর্পোরেশনের এক গবেষনায় দেখা গেছে যে, কর্মীরা তাদের সাপ্তাহিক কাজের ২৮% ব্যয় করে ইমেইল পড়ে ও তার উত্তর প্রদান করে।

    যখন আমরা দ্রুত ও আরো ভালোভাবে কাজ করার চেষ্টা করি। যেকোন ধরনের কমিউনিকেশনে আমাদের সামাজিক নিয়মনীতি ভুলে গেলে চলবে না ।

    ইমেইল এটিকেটে যা করবেন ও যা করবেন না

    ১। ক্লিয়ার সাবজেক্ট লাইন থাকা

    প্রতিদিন আমাদের ইনবক্সে শত শত ইমেইল আসে যা আমাদের কাজের গতি কমিয়ে দেয়। এসব ইমেইলের সাথে আপনাকে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয় । সুতরাং সাবজেক্ট লাইন যত বেশি ক্লিয়ার হবে, ততবেশি আপনার মেসেজ পড়ার সম্ভবনা থাকে। উদাহরনস্বরুপ, আপনি কাউকে কোন প্রপোজাল পাঠাতে যাচ্ছেন, তাহলে সাবজেক্ট লাইন হতে পারে, ” The Fitch Proposal Is Attached”

    ২। আপনার সিগনেচার এড করতে ভুলবেন না

    প্রত্যেক ইমেইলের সাথে একটা সিগনেচার থাকা উচিত যাতে রিসিপেন্টকে আপনার সম্পর্কে ওবং কিভাবে আপনার সাথে কন্টাক করা যাবে তা বলা থাকে। এটা অটোমেটিক্যালি সেট আপ করুন যা ইমেইলের শেষে দেখাবে। এতে আপনার কন্টাক ডিটেইলস এড করুন যেন রিসিপেন্টকে আপনার ঠিকানা, ইমেইল, ফোন নাম্বার খুজে পেতে সমস্যা না হয়।

    ৩। প্রফেশনাল অভিবাদন ব্যবহার করুন

    ‘Hey’ , ‘Yo’ , ‘Hiya’ এসব ব্যবহার করা প্রফেশনাল নয়। আপনি রিসিপেন্টকে যত ভালোভাবে চেনেন না কেন তার পরিবর্তে বরং ‘Hi’ বা ‘Hello’ ব্যবহার করুন। আরো বেশি ফরমাল হতে , Dear (Insert name) ব্যবহার করুন।যেমনঃ ‘Dear Asif’ . তবে মনে রাখবেন আপনাকে তার শর্ট নাম ধরে ডাকার পারমিশন থাকতে হবে।

    ৪। হিউমর ইউজ করবেন না

    ইমেইলে হিউমর আসলে বুঝা যায় না, আপনি যা ফানি মনে করবেন তা অপরপক্ষ আপনার ভয়েস টোন ও ফেস এক্সপ্রেশনের সাথে পরিচিত না হলে ভুল ব্যাখ্যাও দিতে পারে অথবা সারকাজম হিসেবেও নিতে পারে। সুতরাং চেষ্টা করবেন বিজনেস কমিউনিকেশনে হিউমর এভয়েড করতে।

    ৫। ইমেইল লিখার পর আবার প্রফরিড করা

    ইমেইল লিখার পর আবার পড়ে দেখুন সব ঠিক আছে কিনা। আপনার ইমেইলে যদি ভুল বানান ও গ্রামাটিক্যাল এররে ভরা থাকে তাহলে রিসিপেন্ট আপনাকে অলস, কেয়ারলেস এমনকি অশিক্ষিত মনে করতে পারে। ‘Send’ বাটনে চাপ দেয়ার আগে স্পেলিং, গ্রামার এবং মেসেজ চেক করুন।

    ৬। আপনি যা নিয়ে কথা বলছে তা সম্পর্কে রিসিপেন্ট জানে ভাববেন না

    ইমেইলের শুরুতে স্ট্যান্ড-এলোন নোট লিখবেন, এমনকি তা চেইন ইমেইল হলেও। রিসিপেন্ট হয়ত ডেইলি শত শত ইমেইল পেতে পারে, আপনার ইমেইল মনে রাখবে তা আশা করা ঠিক নয়। অর্থ্যাৎ সাবজেক্ট এবং আগের মেসেজ, কনভারসেশন বা রিসার্চের রেফারেন্স দিন ইমেইলের শুরুতে।

    ৭। সব ইমেইল রিপ্লাই করুন

    আপনার কাছে আসা প্রত্যেক লেজিমেট ইমেইলের সময়োপযোগী ও বিনয়ের সাথে রিপ্লাই দিন। এমনকি আপনার যদি সময় নাও থাকে সেন্ডারকে জানান যে আপনি ইমেইলটা পেয়েছেন।

    ৮। হুট করে রিপ্লাই দিবেন না

    কখনো রাগের মাথায় হুট করে বা মুখ ফসকে কিছু লিখে ইমেইল পাঠাবেন না। মেসেজ পাঠানোর পুর্বে কিছুক্ষন চিন্তা করুন যা লিখছেন তা ঠিক আছে কিনা । যদি কোন কারনে রাগান্বিত থাকেন, তাহলে ইমেইল ‘ড্রাফট’ করে রাখুন। পরে মেজাজ ঠান্ডা হলে আরেকবার পড়ে রিপ্লাই দিন।

    ৯। প্রাইভেট ব্যাপারগুলো গোপন রাখুন

    ইমেইলে সবকিছু শেয়ার করা সহজ, হয়ত সামনাসামনি বলতে পারতেন না। যদি আপনাকে হাইলি পারসোনাল বা কনফেডেনশিয়াল কিছু শেয়ার করতে হয়, পারসোনালি কথা বলে বা ফোনে শেয়ার করুন।ইমেইলের বডি বা এটাচমেন্টে কোন সেনসিটিভ জিনিস দেয়ার আগে পারমিশন নিয়ে রাখবেন।

    ১০। অতিরিক্ত এক্সপ্রেশন ব্যবহার করবেন না

    এক্সাইটমেন্ট প্রকাশে বিভিন্ন ধরনের ইমোজি , abbreviations যেমন LOL বা সব ক্যাপিটাল লেটারে লিখা বিজনেস ইমেইলের সাথে মানায় না। সুতরাং এসব এভয়েড করার চেষ্টা করবেন যদি না রিসিপেন্টকে আপনি পারসোনালি বা ঘনিষ্টভাবে চিনে থাকেন ।

    আপনার ইমেইল প্রফেশনাল করতে অভ্যাসের দরকার হয়, কিন্তু ভবিষ্যতে আপনাকে আরো বেশি সুন্দর ও গোছানো মনে হবে।

  • যে ১০ আকর্ষনীয় উপায়ে আপনার ব্লগ পোস্টের ইন্ট্রো শুরু করতে পারেন

    যে ১০ আকর্ষনীয় উপায়ে আপনার ব্লগ পোস্টের ইন্ট্রো শুরু করতে পারেন

    সূচনা পোস্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি পাঠক এবং লেখকের মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরি করে। তাদের মধ্যে পোস্টটি পড়ার আগ্রহ তৈরি করে।শুধুমাত্র সুন্দর এবং কার্যকরী সূচনার অভাবে ৬০% গেস্ট পোস্ট মুখ থুবড়ে পরে থাকে।

    ১। পাঠককে আমন্ত্রণ জানান

    কোন পাঠক যদি মনে করে যে তার কাঙ্ক্ষিত বিষয়গুলো আপনার ব্লগ পোস্টে আছে তাহলে সে আপনার ব্লগটিকেই একটি বন্ধুত্বপূর্ণ বা সহায়ক জায়গা হিসেবে বেছে নিবে। তাই সরাসরি পাঠককে আপনার ব্লগ পোস্টে আমন্ত্রণ জানান। যেমন-

    Example 1

    Do you feel insecure, anxious and doubtful about your writing?

    Example 2

    Does it ever seem like you have more adversity in your life than other people do?

    As if everyone around you is having an easier time of things than you are?
    You begin to feel sorry for yourself and think, “Why does this stuff always happen to ME?”


    ২। একটি সার্বজনীন বক্তব্য তুলে ধরুন

    যখন আপনি একটি সার্বজনীন বিষয় পাঠকদের সামনে তুলে ধরবেন, তখন তার সাথে আপনার একটি তাৎক্ষনিক বন্ধন গড়ে উঠবে।

    Example 1

    We all seem to be getting more self-obsessed by the day. Turn on your TV or open a web browser, and narcissism hits you smack in the face — everything screams ME! ME! ME!

    From: How To Teach Your Kids To Be Compassionate |MindBodyGreen

    Example 2

    Everyone agrees that fitness is good. It boosts your health, brightens your soul, calms your mind, and allows you to do more with your life. |Goodlife ZEN


    ৩. পাঠকদের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি করুন

    পাঠকদের সাথে বন্ধুর মতো সম্পর্ক তৈরি করতে পারেন। তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো তাদেরকে আপনার নিজের জীবনের ছোট কোন গল্পের বিবরণ দিতে পারেন।

    Example 1
    “Just one big idea. One big idea, and we can change the world.”
    I made the mistake of uttering those words in the back seat of a car many years ago in the company of some older, wiser colleagues.
    4 Things I Wish Someone Had Told Me in My Twenties |Relevant Magazine

    Example 2

    I’m a big subscriber to using whatever you can find to work out: pullups on trees, throw big boulders, flip logs or big tires, jump over things, sprint up hills.

    From: Minimalist Gym| Zen Habits

    Example 3

    Blogging has been very good to me over the last twelve and a half years, but it’s come at a personal cost that I’m sure many can relate to.

    From: Hey Bloggers! Is it Time to Focus a little Less on Your Blog and A Little More on YOU? |Problogger


    ৪। ভূমিকাকে কৌতূহলী করে তৈরি করুন

    আপনার পোস্টটি তখনি পাঠকরা পড়বে যখন আপনি ভূমিকা বা সূচনাকে কিছুটা রহস্যময় করে পাঠকের কাছে তুলে ধরবেন। সূচনাটি পড়ে পাঠক আগ্রহী হয়ে পোস্টের পরবর্তী অংশ পড়তে উৎসাহবোধ করবে। সত্যিকার অর্থে সূচনা বা ভূমিকা হলো এমন একটি চাবি যা আপনি বাকি কন্টেন্টে কি লিখছেন বা লিখতে চাইছেন তা প্রকাশ করে।

    Example 1

    I’m a psychiatrist… in training at least. The stories I have heard within these walls could fill a book, but there is one particular case that has caused me to lose sleep.
    This story has plagued my mind for far too long. Typing this out is my feeble attempt to make sense of something my rational mind refuses to comprehend.

    From: My Creepy Psychiatric Patient Practiced Voodoo, Here’s What Happened To Me When I Investigated Her |ThoughtCatalog

    Example 2

    Your headline is the first impression you make on a prospective reader.
    Without a compelling promise that turns a browser into a reader, the rest of your words may as well not even exist.
    So, from a copywriting and content marketing standpoint, writing great headlines is a critical skill. Here are some interesting statistics …

    From: How to Write Magnetic Headlines | CopyBlogger


    ৫। আপনার পোস্টই কেন পাঠক বেছে নেবে

    ব্লগ পোস্টের সূচনাটিকে এমন ভাবে উপস্থাপন করুন যেন পাঠক অন্যদের চেয়ে আপনার পোস্টটিকেই প্রাধান্য দেয়।

    Example

    When I started the 8-Week Fitness Challenge, I had no idea what the response might be. I was amazed when about 100 people joined the Challenge! It seems that there is a quiet revolution in progress.
    From: Fitness: 5 Things that Make Exercise Enjoyable| Goodlife ZEN


    ৬। ব্যক্তিগত কোন গল্প দিয়ে শুরু করতে পারেন

    আপনি আপনার পাঠককে আকৃষ্ট করতে নিজের ব্যক্তিগত কোন গল্প শেয়ার করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন, অবশ্যই গল্পটি যেন আপনার ব্লগ পোস্টের মূল বিষয়কে কেন্দ্র করেই লিখা হয়।

    Example 1

    Naked emotions?

    Like I felt when I finally gave up screaming for help.

    When I sank to my knees and wept by the side of the stream, watching my horse about to drown–and unable to rescue her.

    From: How to Write Better: 3 Secrets of Transmitting Naked Emotions |WritetoDone

    Example 2

    When a young Turkish boy named Celal Kapan first began to speak, almost the first thing he said was: “What am I doing here? I was at the port.”

    Later he told his parents that he had been a dockworker who had fallen asleep in the hold of a ship when a heavy oil drum fell on him and killed him instantly.

    Was he remembering a previous life?

    From: Is there Life After Death?| Goodlife ZEN


    ৭। রিডারদের প্রশ্ন করুন

    আপনি খেয়াল করবেন , যে প্রশ্নটির উত্তর দেয়া থাকে না বা আপনি যে প্রশ্নটির উত্তর জানেন না সেটা আপনার কাছে অসম্পূর্ণ একটি প্রশ্ন মনে হবে। পোস্টে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে তার উত্তর জানার জন্য পাঠকের মনে তীব্র কৌতহল জাগে। তাই এমন প্রশ্ন করবেন, যার উত্তর পাঠক সম্পূর্ণ পোস্টের তথ্য পড়া ব্যতীত দিতে পারবে না।

    Example 1

    Why is your prospect on the fence?

    From: Deadly Conversion Busters: Turning ‘Yeah, But’ Into ‘Yes,
    Please’| Copyblogger

    Example 2

    Could it really be possible that almost everything you are doing to promote your website is a waste of time?

    From: 11 Traffic Techniques That Are a Waste of Time for
    Beginners |BoostBlogTraffic

    ৮। সঠিক তথ্য উপস্থাপন

    একটি সম্পূর্ণ এবং তথ্যবহুল বিবরণ পোস্টের মান এবং পাঠকদের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায়। তাই , যে কোন পোস্টে সঠিক তথ্য বা নাম্বার ব্যবহার করুন। কারণ পাঠকরা নাম্বার বিশ্বাস করে।

    Example 1

    In 1995, authors, experts and influencers sold $10 million worth of eBooks through Amazon. 18 years later that number has grown to $1.6 billion.

    Despite the growth, something is changing…

    From: New Facebook Tool: How To Use It To Convert Comments Into Sales |JeffBullas

    Example 2

    Sex may be a common topic in the US, but there are some facts about sex that most of the American population is unaware of.

    For instance, cold feet is probably the reason for a lack of orgasm. A UK study found that 80% of couples wearing socks during intercourse were able to reach orgasm, but only 50% of those who were sockless were able to reach orgasm.


    ৯। উদ্ধৃতি ব্যবহার করুন

    উদ্ধৃতি সবাই পছন্দ করে। তাই উদ্ধৃতি আপনার সূচনাকে দুর্দান্ত উপায়ে নেতৃত্ব দিতে পারে। আপনার পোস্টে বিখ্যাত ব্যাক্তিদের উদ্ধৃতি উল্লেখ করতে পারেন। আর যদি এমন হয় যে আপনি যে উদ্ধৃতিগুলো ব্যবহার করেছেন তা আপনার পোস্টের মূল বিষয়কে নেতৃত্ব দেয় তাহলে পোস্টের লেখা পাঠক বিশ্বাস করবে।

    Example

    What unites us as human beings is an urge for happiness which at heart is a yearning for union. ~ Sharon Salzberg

    From: Unraveled? Here’s How to Knit Yourself and the World Together| Zen Habits


    ১০। ছোট ছোট সত্য গল্প বা অনুকাহিনি রাখতে পারেন

    অনুকাহিনি হলো ছোট গল্প। পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য অনুকাহিনি দিয়ে সূচনা শুরু করতে পারেন।

    Example:

    Google just introduced customizable background images on their site.

    Here’s what happened: “I need to search for someth…. wait, huh?

    What is Google celebrating today, the guy who invented transparency? A background image, oh weird, it’s like a mountain view. Oh I get it… Mountain View!

    I wonder who that woman on the dock is? Not a huge fan of big, busy images… too distracting. What other pictures are there? Yuck. Yuck.

    Nice for a photo album, but too busy for this page. Meh, the colored background is ok, red… no, gray, yeah, gray.

    Actually, maybe I want—Wait, I was supposed to be searching, how do I turn this off?

    Wait, why does clicking remove background image just return the original picture of the woman on the dock, I just want nothing to be there. Argh!”

    From: A Google Background Image Anecdote| Plastic Mind

    গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক

  • ব্লগ পোস্টের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় ফর্মুলা

    ব্লগ পোস্টের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় ফর্মুলা

    ব্লগ পোস্টের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় টিপস

    ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিশাল দুনিয়ায় কন্টেন্ট হলো প্রাণ স্বরূপ। কন্টেন্ট ছাড়া একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট মূল্যহীন। কিন্তু আপনার কন্টেন্ট তখনই কার্যকর ভূমিকা রাখবে যখন আপনি একটি তথ্যবহুল কন্টেন্ট লিখতে পারবেন। আবার শুধু মাত্র তথ্য থাকলেই চলবে না। কন্টেন্টটিকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে পাঠককে আকৃষ্ট করে রাখতে হবে যেন পাঠকগণ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আগ্রহ নিয়ে পুরো লেখাটি পড়তে পারে।

    ব্লগটি মার্কেটিং এর কোন অবস্থানে আছে সেটা কিভাবে বুঝবেন?

    আপনি যে ব্লগটি লিখেছেন সেটি সম্পন্ন করার পর আপনার একটি বিশেষ আগ্রহ জাগবে যে আপনার ব্লগটি কোন অবস্থানে আছে তা জানার। তাই ব্লগটি ভালো হয়েছে নাকি খারাপ হয়েছে সেটা বোঝার একটি ভালো উপায় হলো, ব্লগটিতে ভিজিটররা কেমন আসছে বা পেজ ভিউ কেমন হচ্ছে সেটা দেখা। সত্যিই এটি একটি খুব ভাল নির্দেশক কন্টেন্টটির অবস্থান জানার। তবে সবসময় পেজভিউ দেখে আপনি নিশ্চিন্ত হতে পারবেননা। যেহেতু আপনি আপনার ব্যবসার জন্য একটি ব্লগ পোস্ট চালাচ্ছেন তাই আপনার বেশিরভাগ বিনিয়োগ শুধুমাত্র ব্লগ পোস্টের পিছনে খরচ করা ঠিক হবে না।

    যখন আপনি ব্যক্তিগত ব্লগ চালাবেন

    এমন যদি হয় যে আপনি একটি ব্যক্তিগত ব্লগ খুলে রেখেছেন শুধুমাত্র মজা করার জন্য। কিন্তু সে ব্লগটি থেকে যদি আপনার কিছু অতিরিক্ত আয় আসে তাহলে নিশ্চয়ই আপনি বিরক্ত হবেন না? কিছু মানুষ আছেন যারা ব্যক্তিগত ব্লগে ব্যানার, বিজ্ঞাপন এবং স্পনন্সরদের পোস্ট থেকে আয় করেন।আবার অনেকই ব্লগিং করে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে, কর্মশালা, পরামর্শ ইত্যাদি দিয়ে আয় করে। তাই আপনার ব্লগটি যত ছোটই হোকনা কেন আপনি এর জন্য বড় স্বপ্ন দেখতেই পারেন।

    ব্লগের রিডাররা কি আপনার লেখার প্রতি আকৃষ্ট?

    আপনার ব্লগটি ব্যক্তিগত অথবা ব্যবসায়িক যে উদ্দেশ্যেই তৈরি করে থাকেন না কেন খেয়াল রাখবেন, রিডাররা আপনার পোস্টটি পড়ছে কিনা, কমেন্ট করছে কিনা এবং পরবর্তী পেজে ক্লিক করছে কিনা। এই বিষয়গুলো বুঝতে পারলেই আপনি বুঝবেন যে রিডাররা আপনার লেখার প্রতি আকৃষ্ট। তাই পাঠক বা রিডারকে আকৃষ্ট করার জন্য লেখাগুলো সুবিন্যস্ত থাকা জরুরি।

    https://blog.spiralytics.com/hs-fs/hub/1964188/file-3867888396-jpg/blog-files/engagement-content-marketing1.jpg

    একটি সুন্দর ব্লগ ডিজাইন রিডারদেরকে কাস্টমার হতে উদ্বুদ্ধ করে

    একটি তথ্যবহুল এবং বিন্যাস্ত কন্টেন্ট রিডারকে আকৃষ্ট করে। তাই আপনি কন্টেন্টেকে যেমন সুন্দর করতে সচেষ্ট থাকেন, ঠিক একই ভাবে মার্কেটিং এর অন্যান্য কৌশলগুলোর দিকেও আপনাকে সমান দৃষ্টি রাখতে হবে। যেমন একটি রাজ্য পরিচালনা করার জন্য একজন রাজার রাজত্বে দক্ষ উপদেষ্টা এবং শক্তিশালী সেনা বাহিনী থাকে।
    SEO এর সাহায্যে আপনি নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড দিয়ে আপনার ওয়েবসাইটটিকে রেঙ্ক করাতে পারবেন এবং সেটা ভালো ট্রাফিক এনে দেয়। রিডারদেরকে কাস্টমার হতে উদ্বুদ্ধ করে।

    এখন একটি ব্লগ পোস্টের আরো কিছু গুরুত্তপুর্ন বিষয় তুলে ধরছিঃ

    হেডলাইন বা শিরোনাম

    ধরুন, আপনি খবরের কাগজ কিনতে গেছেন। স্বভাবতই দেখবেন যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খবরটি প্রায় সব কাগজেই এসেছে। এখন আপনি কোন কাগজটা বেছে নিবেন? নিশ্চয়ই যে খবরের কাগজে শিরোনামটি আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে সেটি? তেমনি আপনি ব্লগে আপনার লেখাটির শিরোনাম বা হেডলাইন দিয়ে রিডার কে আকৃষ্ট করতে পারেন। শিরোনামটি এমন ভাবে তৈরি করুন যেন পাঠক আপনার পেজের ‘’Read more’’বা ’’বিস্তারিত পড়ুন’’ এ ক্লিক করতে আগ্রহী হয়। অর্থাৎ সে পরবর্তী পেজটি পড়ে।

    বাইলাইন এবং ডেট
    কন্টেন্ট মার্কেটিং কে জোরালো ভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনার নাম এবং ছবি কন্টেন্টের বাইলাইনে সংযুক্ত করে দিতে পারেন।
    আপনার কন্টেন্টটি কখন আপডেট করেছেন সেই ডেটটি কন্টেন্টের নিচের দিকে দিয়ে দিবেন। যেমন, যদি এমন হয় যে আপনি কন্টেন্টটি ২০১৩ সালে লিখেছিলেন কিন্তু সেটি আবার ২০১৫ সালে আপডেট করেছেন। তাহলে আপনি শেষ যখন আপডেট করেছেন সেই তারিখটিই দিবেন।

    photo in byline

    ব্যানার

    একটি ব্লগে ব্যনার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কারণ আমাদের মস্তিষ্কে ৯০% দৃশ্যমান তথ্য রয়েছে এবং আমাদের চোখ সে দৃশ্যমান তথ্যগুলো আমাদের পঠিত তথ্যর চেয়ে ৬০০০০X দ্রুততার সাথে মস্তিস্কে প্রেরণ করে। আবার ফেসবুকে পোস্টের চেয়ে ছবির প্রতি দ্রুত দৃষ্টি যায়। তাই আপনাকে এমন একটি ব্যানার তৈরি করতে হবে যেটা শুধু আপনার হেডলাইন বা শিরোনামকেই সাপোর্ট করবে না সেই সাথে আপনার কাঙ্ক্ষিত পাঠককে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করতেও আগ্রহী করে তুলবে।

    কন্টেন্ট

    কন্টেন্টটি ছোট কোন গল্প অথবা মজার কাহিনী দিয়ে শুরু করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে গল্পটি যেন কন্টেন্ট এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয়। এছাড়াও পাঠককে ছোট প্রশ্ন করে লেখা শুরু করতে পারেন। শুরুটা এমন হওয়া চাই যেন পাঠকরা আপনি কি বলতে চাচ্ছেন তা জানার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠে।

    লেখার মাঝে বিরতি দিন
    ব্লগপোস্টে মাঝে মাঝে বিরতি দেয়া জরুরি। কারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা দীর্ঘ লেখা বা পোস্ট বেশি সময় নিয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়তে চায় না।তাই বড় প্যারা দিয়ে কোন লেখা না লিখাই ভালো। ছোট ছোট প্যারা, উপ-শিরোনাম, মূল পয়েন্ট, ছবি এবং ভিডিও ক্লিপ্স ইত্যাদি যুক্ত করে লেখার মাঝে বিরতি দিয়ে লিখতে হবে।

    CTA ব্যানার তৈরি করুন

    আপনি যখন আপনার রিডারদেরকে পোস্টের নিচের দিকে আনতে সফল হবেন তখন সে আপনার CTA ব্যানারটি দেখবে। তাই ব্যানারটি তৈরি করার সময় আপনার সার্ভিস পেজ, কন্টাক্ট পেজ, ফ্রি অফার ইত্যাদি উল্লেখ করবেন।

    লেখকের নাম ঠিকানা সংযুক্ত করুন

    পোস্টের লেখকের নাম, ঠিকানা, ছবি এবং টুইটার আইডি বাইলাইনে দিয়ে রাখতে পারেন। লেখকের নিজের সম্পর্কে ধারনা দিতে পারেন এবং সেই সাথে আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ঠিকানাও দিতে পারেন।

    কমেন্টস

    ব্লগে পাঠকদের কমেন্টস খুব গুরুত্বপূর্ণ। কমেন্টের মাধ্যমে আপনি পাঠকদের মতামত সম্পর্কে অবহিত হতে পারেন। তাই পাঠকদের কমেন্টের উত্তর সঠিক ভাবে দেয়ার চেষ্টা করবেন। Quick support নামে একটি অপশন রাখতে পারেন। যেখান থেকে আপনি পাঠকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন।

    শেয়ার অপশন

    ব্লগ পোস্টে একটি শেয়ার অপশন রাখতে পারেন। যেন পাঠকরা আপনার ওয়েবসাইট থেকে পোস্টটি তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে পারে।

    social media buttons


    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের লিঙ্ক যুক্ত করুন

    যেহেতু আপনি চাইছেন, পাঠক আপনার ওয়েবসাইটে বেশি সময় ধরে থাকুক তাই আপনি আপনার সামাজিক যোগাযোগের লিঙ্কগুলো সংযুক্ত করে রাখুন। যেন পাঠকরা আপনার পরবর্তী পোস্ট এবং অফার সম্পর্কে জানতে পারে।

    টপ আর্টিকেলের লিঙ্ক সংযুক্ত করুন

    আপনার পোস্টের মত যে টপ পোষ্টগুলো রয়েছে সেগুলোর লিঙ্ক যুক্ত করুন। এতে করে পাঠকরা বিষয়টির বিস্তারিত বিবরণ জানতে পারবে এবং আপনার ওয়েবসাইটে বেশি সময় ধরে থাকবে।

    ব্লগ পেজের উপরের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন বার যুক্ত করুন

    আপনার পেজের উপরের দিকে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় একটি বার তৈরি করতে পারেন। যেমন, কল টু অ্যাকশন বার, এটেনশন গ্রেবার ইত্যাদি।

    manycontacts bar

    প্রস্থান পপ আপ

    পপ আপ একটি অবাক করা জিনিস। আপনি যখন কোন ওয়েবসাইট থেকে বের হয়ে আসতে চাইবেন তখনি পপ আপ গুলো প্রদর্শিত হবে। আপনি জেনে অবাক হবেন যে এই পপ আপ পাঠকদের এক ধরনের আকর্ষণ করে। তাই আপনার ব্লগে পপ আপ সংযুক্ত করুন।

    exit intent pop up

    উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলোকে কাজে লাগিয়ে একটি সুন্দর আর কার্যকরী ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলুন এবং সহজেই ডিজিটাল মার্কেটিং দুনিয়ায় পদার্পণ করুন।

  • আমার এভারেজ কাস্টমার ভ্যালু কত?

    আমার এভারেজ কাস্টমার ভ্যালু কত?

    বেশিরভাগ মার্কেটার একজন কাস্টমারের মুল্য কত সেটা আন্দাজ করে। ভিজিটরদের পিছনে প্রতি ওয়েবসাইট ট্রাফিকের জন্য কত খরচ করতে হবে সেটা তারা অনুমান করে।

    কিন্তু একজন সাকসেসফুল মার্কেটার তা হিসাব করে বের করে।

    তারা মুলত ডাটার, স্প্লিট টেস্ট বা ম্যাথের উপর ভিত্তি করে হিসাব সমন্বয় করে।

    দেখা যাক কিভাবে এটা ক্যালকুলেশন করা হয়।

    ২টা সিম্পল ফর্মুলার সাহায্যে আমরা কাস্টমার ভ্যালু বের করবো।

    প্রতিটা সফল অনলাইন ব্যবসায়ীদের সবসময় এই দুইটা মার্কেটিং মেট্রিক্স মনিটর করা উচিত।

    ১। এভারেজ কাস্টমার ভ্যালু (এসিভি)– যা আপনাকে বলবে কোন কাস্টমার কতটা মুল্যবান

    ২। এভারেজ ভিজিটর ভ্যালু (এভিভি)– যা আপনাকে বলবে একটা ক্লিকের জন্য কি পরিমান আপনাকে খরচ করতে হবে।

    কিভাবে এই দুইটি ফর্মুলা আপনার বিজনেসে প্রয়োগ করবেন?

    আমরা আপনাকে একটা সলিড উদাহরন দেখাবো।

    কিন্তু তার আগে আপনাকে সিস্টেমটা জানতে হবে।ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে ,আমরা একটা সিস্টেম ব্যবহার করি যার নাম হচ্ছে কাস্টমার ভ্যালু অপটিমাইজেশন/ ডিজিটাল রেভেন্যু ইঞ্জিন।

    আমরা এই সিস্টেমকে ব্যবহার করি প্রত্যেক বিজনেসে যা আমরা শুরু করি, একোয়ার করি বা কনসাল্ট করি।

    আপনার গোল হবে একটা নতুন কাস্টমার একোয়িজিশন করতে আপনাকে আপনার কম্পিটিটরদের চেয়ে বেশি পরিমানে খরচ করতে পারার আগ্রহ থাকা। যদি আপনি পারেন , তাহলে আপনি জয়ী হবে।

    একজন ওয়েট লস/ফিটনেস ব্লগার যেভাবে মার্কেটিং ফানেল তৈরি করে।

    information marketing funnel 2016
    একজন মার্কেটার যেভাবে ফানেল মেট্রিক্স ব্যবহার করে তার উদাহরন দেয়া হলো।
    • ট্রিপওয়্যার অফার- এই অফারে ৫% নতুন লিড কাস্টমারে কনভার্ট হয়। এই অফারের মুল্য ১০ডলারের নিচে হওয়ার ভালো।
    • কোর প্রোডাক্ট অফারিং- কোর অফারে ১০০ডলারের প্রোডাক্ট প্রমোট করা হয় যা ৩০% কাস্টমারে কনভার্ট হয়।
    • রেভেন্য ম্যাক্সিমাইজার- এই অফারে ৩০০ডলারের প্রোডাক্ট প্রমোট করা হয় যা ১০% কাস্টমারে কনভার্ট হয়।

    স্মার্ট মার্কেটাররা ২টা প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করে এই নাম্বারগুলো দেখার পর।

    ১। একজন কাস্টমার কত বেশি মুল্যবান (এভারেজ কাস্টমার ভ্যালু)

    ২। একটা ট্রাফিকের পিছনে কাস্টমার প্রতি কত খরচ করতে হবে। (এভারেজ ভিজিটর ভ্যালু)

    কিভাবে এভারেজ কাস্টমার ভ্যালু ক্যালকুলেট করা হয়।

    মনে রাখতে হবে, হিসাবটা এভারেজ কাস্টমার ভ্যালু নিয়ে, কাস্টমার লাইফটাইম ভ্যালু নিয়ে নয়।

    এসিভির ফর্মুলাটা হচ্ছে-

    ট্রিপওয়্যার প্রাইস+ (কোর অফার প্রাইস * কোর অফার কনভারসন রেট) + (প্রফিট ম্যাক্সিমাইজার প্রাইস * প্রফিট ম্যাক্সিমাইজার কনভারসন রেট) = এভারেজ কাস্টমার ভ্যালু

    উপরের উদাহরন অনুযায়ী হিসাব করলে এসিভি যা হয়-

    $7+ &100(.3)+ $300(.1)= &67 এভারেজ কাস্টমার ভ্যালু

    অর্থ্যাৎ প্রতি ৭ ডলারের একটা প্রোডাক্টের পিছনে আপনি আসলে লাভ করছে ৬৭ ডলার।

    অন্যভাবে বলা যায়, আপনি ৬৭ ডলার খরচ করছে ৭ ডলারের একটা প্রোডাক্ট সেল করার জন্য।

    এবার বুঝতে পারছেন এসব নাম্বার জানার ক্ষমতা যা আপনারকম্পিটিটরকে পিছনে ফেলবে

    আরো বাকি আছে।

    কিভাবে এভারেজ ভিজিটর ভ্যালু ক্যালকুলেট করা হয়।

    এখন আপনি নিশ্চয় জানেন আপনার কাস্টমাররা কত মুল্যবান। এখন আপনি হিসাব করতে পারবেন একজন কাস্টমারের পিছনে আপনাকে কত টাকা খরচ করা উচিত।

    এভাবে আপনি মার্কেটে ডোমিনেট করবেন। যেখানে আপনার কম্পিটিটর অনুমান করছে সেখানে আপনার কাছে ডাটা আছে।

    চলুন দেখি কিভাবে এভারেজ ভিজিটর ভ্যালু ক্যালকুলেট করা হয়।

    এভারেজ কাস্টমার ভ্যালু(এসিভি) * ট্রিপওয়্যার কনভারসন রেট = এভারেজ ভিজিটর ভ্যালু

    উপরের ফানেল অনুযায়ী হিসাব করলে দেখা যায়,

    $67 * .05 = 3.35 এভারেজ ভিজিটর ভ্যালু

    তার মানে প্রতি ক্লিকের জন্য আপনি ৩.৩৫ ডলার খরচ করতে পারবেন কোন রকম লসে না পড়ে।

    ডিপেন্ডেন্সি ক্লজ

    কিছু ফানেলে আসলে হিসাব করা যায় না যদি কোন ডাটা না থাকে। অর্থ্যাৎ ডিপেন্ডেন্সি ক্লজ বলতে বুঝাচ্ছে আপনার ফানেলের কিছু অফার হয়ত পুর্বের কোন ক্রয়ের উপর নির্ভর করছে।

    উদাহরনস্বরুপ বলা যায়, যদি আপনি কোর ভ্যালুর কাস্টমারদের ৩০০ ডলারের কোচিং অফার করা হয়, তাহলে এসিভি এর ফর্মুলা চেঞ্জ হবে।

    এক্ষেত্রে ফর্মুলা হবে,

    $7 + $100(.3) + $300(.3 * .1) = $46 এভারেজ কাস্টমার ভ্যালু

    একজন কাস্টমারের মুল্য হিসাব করার পার্থক্য লক্ষ্য করুন যে কোচিং অফার কিনেছে। কারন অফারটা ১০০ ডলারের কোর্স কেনার উপর ডিপেন্ডেড ছিল।

    এটাই হচ্ছে ফ্যাক্ট।

  • ১৫ টি কন্টেন্ট যা অডিয়েন্স এনগেজমেন্টে সহায়ক :

    ১৫ টি কন্টেন্ট যা অডিয়েন্স এনগেজমেন্টে সহায়ক :

    ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে সেলস বৃদ্ধি করার জন্য এবং টার্গেটেড অডিয়েন্সদের কাছে পৌঁছানোর জন্য কন্টেন্ট মার্কেটিং একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কন্টেন্ট মার্কেটিং ইউজারদের আকর্ষণ করে এবং একই সাথে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং প্রসারিত করে।

    “কন্টেন্ট মার্কেটিং এক ধরণের কস্ট ইফেক্টিভ টেকনিক” ( সিএমআই) । অর্থাৎ এটি কম সময়ে এবং একইসাথে কম খরচে আপনার মার্কেটকে লিডিং পজিশনে নিয়ে যেতে পারে ( ব্যতিক্রম : ইমেইল মার্কেটিং)।

    কিন্তু, আপনি যদি বড় কোনো বিজনেসে ইনভলভড থেকে থাকেন বা যদি কোনো বড় মার্কেটার হন তাহলে একটা ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে, তা হলো, যেই কন্টেন্ট গুলো তৈরি করা হচ্ছে সেগুলো আদৌ কোনো কাজে আসছে কি না। যদি সেটা না হয়, তাহলে আপনি শুধুমাত্র সময় নষ্ট করছেন।
    কাজেই আমাদেরকে কন্টেন্ট তৈরির ইফেক্টিভ ফরম্যাটগুলোকে ফিগার আউট করতে হবে।

    তাই আমরা কিছু ইফেক্টিভ ফরম্যাটকে এখানে এনলিস্টেড করেছি। লিস্টের ফরম্যাটগুলো আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং প্রসারিত করতে সাহায্য করবে এবং টার্গেটেড অডিয়েন্সদের আকর্ষণ করার জন্য ইফেক্টিভ কন্টেন্ট তৈরিতে কাজে আসবে।

    কন্টেন্ট মার্কেটিং এর উপকারিতা :

    • কন্টেন্ট মার্কেটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং টুল হিসেবে পরিচিত। এটি ইমেইল মার্কেটিং এর একটি অংশ যার হাই আরওআই রয়েছে।
    • এসইও সার্চ র‍্যানকিনের তিনটি ফ্যাক্টরের মধ্যে একটি হল কন্টেন্ট। ইফেক্টিভ কন্টেন্ট ইউজারদের আপনার সাইটের প্রতি আকর্ষিত করার পাশাপাশি সাইটের কাস্টমার সংখ্যাও বাড়িয়ে দেয়।
    • কন্টেন্ট আপনার সাইটের ভিজিটর এবং কাস্টমারদেরকে আপনার বিজনেস বিষয়ক যথাযথ তথ্য সরবরাহ করে থাকে। এটি আপনার বিজনেস সাইটকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে।
    • কন্টেন্ট বিভিন্নভাবে তৈরি করতে হয় যাতে করে এতে বৈচিত্র্য আসে। কেননা সব ইউজারের কাছে একই ধরণের কন্টেন্ট ভিউড হয় না। নিচের লিস্টের কন্টেন্ট ফরম্যাটগুলো বিভিন্ন ধরণের কন্টেন্ট তৈরিতে সাহায্য করবে।

    ১. ব্লগ পোস্ট :

    ব্লগ পোস্ট কন্টেন্ট মার্কেটিঙের একটি পপুলার ফরম্যাট। ব্লগ পোস্ট তৈরি করা তুলনামূলকভাবে সহজ, বিশেষত যখন ব্লগ খুব বেশি বড় না হয়ে আকারে ছোট হয় কিংবা সেখানে যদি বেশি বেশি ছবি অ্যাডেড না থেকে থাকে।

    ব্লগ পোস্ট আপনাকে :

    • অথরিটেটিভ কন্টেন্টের সেট তৈরিতে সাহায্য করে,
    • বেটার সার্চ র‍্যানকিনের জন্য বিভিন্ন ভরসাযোগ্য মাধ্যম থেকে সাইটেশনে সাহায্য করে,
    • এক ধরণের ফরম্যাট থেকে আরেক ফরম্যাটে নেওয়া যায় এমন কন্টেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করে।

    ইনবাউন্ড লিংক প্রোফাইলের জন্য গেস্ট ব্লগিং ব্যবহার করা যায়। বিভিন্ন ধরণের আর্টিকেল ব্লগিং এর অন্তর্গত, যেমন : রিভিউ, হাউ টু, লিস্ট ইত্যাদি।

    ব্লগ পোস্ট লেখার জন্য :

    • হেডলাইন টুল ব্যবহার করতে হবে,
    • বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট সম্পর্কিত আইডিয়া চেক আউট করতে হবে,
    • বেটার এসইও বিল্ডিং এর জন্য লিঙ্ক পোস্ট এবং কন্টেন্ট অপটিমাইজেশন করতে হবে।

    ২. লং ফর্ম আর্টিকেল :

    এটিও এক ধরণের ব্লগিং যা লং ফর্মড হয়ে থাকে। যেমন : মজের ওয়েবসাইট ফরমেশন গাইড, এতে সতেরো হাজারের উপরে ওয়ার্ড আছে। একটি ডাটাতে দেখা গেছে যে, সাধারণত ইউজাররা লং ফর্মের আর্টিকেল সোশাল মিডিয়াগুলোতে শেয়ার করে থাকে। এর কারণে আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বুদ্ধি পায়।

    লং ফর্ম আর্টিকেল তৈরি করার জন্য যথেষ্ঠ রিসার্চের প্রয়োজন পড়ে। যেমন : যদি বিভিন্ন টপিকের উপর “আলটিমেট গাইড” পাবলিশ করা হয়, তাহলে সেগুলোর কতগুলো চ্যাপ্টার থাকতে পারে( যাদের প্রত্যেকের নিজস্ব ইউআরএল আছে) । অর্থাৎ এক্ষেত্রে গাইডটির সার্চ রেজাল্ট গুলোতে আসার সম্ভবনা বেড়ে যায়।

    এক্ষেত্রে আমরা দুই ধরণের উপায় কাজে লাগাতে পারি, এক হতে পারে, আপনি আপনার নিজস্ব ইন্ডাস্ট্রির এক্সপারটাইজ দ্বারা ইন ডেপথ এবং রিসার্চফুল লং ফর্ম কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন। আরেক হতে পারে যে, আশেপাশে থাকা বিভিন্ন ধরণের কন্টেন্ট চেক আউট করে আরো বেটার এবং রিসোর্সফুল নতুন কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন।

    ৩. অরিজিনাল রিসার্চ :

    এটি এক ধরণের পপুলার কন্টেন্ট ফরম্যাট। এটি ইন বাউন্ড লিঙ্ক পাওয়ার অন্যতম উপায় এবং এটি তখনই সম্ভব যখন আপনার ক্রিয়েশনকে সাইটেড করা হয়। তবে ইন ডেপথ রিসার্চ সময় সাপেক্ষ এবং একইসাথে কস্টলি। প্রসেসটি স্পিড আপ করার জন্য WTForms ব্যবহার করে সার্ভে তৈরি করতে হবে, তারপর রেজাল্ট যাতে চার্ট আকারে ভিজুআলাইজড হয়, সেই জন্য একটি বিল্ড ইন ড্যাশবোড তৈরি করতে হবে।

    ৪. ভিডিও :

    মোবাইল ডিভাইস ব্যবহারকারীদের কাছে এটি সবচেয়ে পপুলার কন্টেন্ট ফরম্যাট হিসেবে পরিচিত। এটি অনলাইনের অ্যাটেনশন গেটার হিসেবে কাজ করে। গুগলের একটি ডাটা থেকে এটা প্রমাণিত যে, ভিডিও ৪০% মিলেনিআল ইউজারের কাছে ট্রাস্টেড সোর্স হিসেবে কাজ করে।

    বিজনেস রেভেনিউতে ভিডিও এক ধরণের কন্টেন্ট ফরম্যাট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডিজিটাল মার্কেটিঙে ভিডিওর ব্যবহার ৬৬% লিড বাড়িয়ে দেয় নন ভিডিও ইউজারদের চেয়ে। ভিডিও মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিঙের সেলস বাড়িয়ে দেয়। বিজনেসে যেভাবে আমরা ভিডিও ব্যবহার করতে পারি :

    • বিজনেস ইনটরোডাকশনের জন্য এক্সপ্লেইনার ভিডিও ব্যবহার করতে পারি
    • প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের ফিচার শোকেসের জন্য ভিডিও তৈরি করা যেতে পারে
    • প্রোডাক্ট ব্যবহার করার বিভিন্ন ধাপ বর্ননা করার জন্য এটির ওপর একটি ভিডিও শুট করা যেতে পারে।

    ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির জন্য কয়েকটি সাজেশন :

    • ইউটিউব স্টুডিও অ্যাপ ব্যবহার করে খুব সহজেই স্মার্ট ফোনে ভিডিও শুট করে আপলোড করা যায়
    • ভিডিও ক্রিয়েশন টুল ব্যবহার করা
    • লাইভ ভিডিও শুট করা যেতে পারে।
    • শেষ অপশন :
    • ভালো ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে
    • লাইভ শুটের আগে সবাইকে জানানো এবং সকলকে ভিডিও দেখতে, সাবস্কাইব করতে উৎসাহী করা।

    ৫. ইনফোগ্রাফি :

    এটি সবথেকে বেশি শেয়ারড কন্টেন্টের মধ্যে একটি। আকর্ষণীয় ইনফোগ্রাফি তৈরি করতে সঠিক গ্রাফিক এলিমেন্ট, ইন্টারেস্টিং এবং ভরসাযোগ্য ইনফরমেশন প্রয়োজন।

    ইনফোগ্রাফির কিছু প্রয়োজনীয় টিপস :

    • ব্লগ পোস্ট আউট লাইন একটি ভাল স্টার্টিং পয়েন্ট হিসেবে কাজে লাগে।
    • হেডলাইন এবং সাব হেডলাইন ইন্টারেস্টিং হতে হবে
    • ক্যানভা, পিকোচার্ট এবং অন্যান্য ভিজুআল কন্টেন্ট মার্কেটিং টুল ব্যবহার করা

    ৬. ইমেজ :

    ইমেজ ইউজারদের রিটেন কন্টেন্ট সমূহ ফেসবুকে বা টুইটারে পোস্ট করতে অনুপ্রাণিত করে থাকে। সারা বিশ্বে প্রতি মিনিটে ১৫,০০০ জিআইএফ মেসেনজারে সেন্ড করা হয়, ৪৬,২০০ পোস্ট ইনস্টাগ্রামে আপলোড করা হয়। ইমেজকে যেভাবে কন্টেন্ট ফরম্যাটে নেয়া যায় :

    • ক্যানভা বা স্টেনসিল ব্যবহার করে আপনার ব্লগ পোস্টের কী টেকওয়েকে কোট গ্রাফিকে পরিণত করতে হবে ।
    • “Know Your Meme” থেকে একটি শেয়ারেবল এবং পপুলার Meme বাছাই করতে হবে।
    • “Google Photos” অ্যাপ ব্যবহার করে স্টিল ফটোর একটা শর্ট অ্যানিমেশন তৈরি করতে হবে।
    • “Giphy” থেকে শেয়ারেবল GIF তৈরি করতে হবে।

    ৭. কেস স্টাডি:

    নতুন বিজনেস শুরু করবার জন্য কেস স্টাডি একটি ইফেক্টিভ কন্টেন্ট ফরম্যাট। কেস স্টাডি আপনাকে যেসব ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে :

    • আপনি সঠিক কি না সেটি শো করে থাকে।
    • নিশ স্পেসিফিক কন্টেন্ট তৈরি করে।
    • ট্রাস্ট এবং অথরিটি বিল্ডিং করে থাকে।
    • কমপেটিটিভ অ্যাডভানটেজগুলোকে হাইলাইট করে।

    ৮. হোয়াইট পেপার/ রিপোর্ট:

    এই পেপার বা রিপোর্টগুলো বিজনেস ওয়েবসাইট সমূহে অডিয়েন্সদের এনগেজড্ রাখে। ডিজিটাল মার্কেটিং প্রসারিত করতে হোয়াইট পেপার অ্যাডিং একটি বিশাল মাধ্যম হিসেবে কাজ করে থাকে। টার্গেটেড অডিয়েন্সদের সাহায্য করা হোয়াইট পেপারের মূল উদ্দেশ্য। বেস্ট হোয়াইট পেপার :

    • কী ইস্যুগুলোতে ফোকাস করে।
    • ইন ডেপথ্ রিসার্চ ব্যবহার করে।
    • যেকোনো ক্লেইমকে ভেরিফাইএবল স্ট্যাটিসটিক্স দ্বারা ব্যাক আপ করে থাকে।
    • চার্ট, গ্রাফ এবং পুল কোটসমূহ ইনক্লুড করে।
    • হোয়াইট পেপারের মাধ্যমে রিডাররা পরবর্তীতে কি করবে সেটি বুঝতে পারে।

    ৯. ইবুক :

    ইবুক লিড ম্যাগনেট হিসেবে কাজ করে এবং কাস্টমারদের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে থাকে। যেমন : Hubspot, এটি তার বিভিন্ন ব্লগ পোস্টে ইবুককে লিড ম্যাগনেট হিসেবে ব্যবহার করে। ইবুক তৈরির জন্য ইন ডেপথ্ ব্লগ পোস্টিং কিংবা লং ফর্মের কন্টেন্টের প্রয়োজন পড়ে।

    ১০. প্রেজেন্টেশন :

    প্রেজেন্টেশন অনলাইন বিজনেস প্রোমোট করতে অত্যন্ত কার্যকরী। স্লাইড শেয়ার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অনলাইন প্রেজেন্টেশন তৈরি করা তুলনামূলকভাবে সহজ। স্লাইড শেয়ারের মাধ্যমে অনলাইন প্রেজেন্টেশন তৈরির জন্য প্রথমে প্রেজেন্টেশন তৈরি করে সেটিকে আপলোড করতে হবে। এরপর একে প্রায় তিনটি কী ওয়ার্ড দ্বারা ট্যাগ করতে হবে যাতে করে কাস্টমাররা প্রেজেন্টেশনটিকে সহজেই খুঁজে পেতে পারেন।

    এরপর প্রেজেন্টেশনটিকে লিঙ্কেডিন প্রোফাইলে অ্যাড করতে হবে যাতে করে ইউজারদের কাছে এটি আরো ভিজিবল হয়ে ওঠে। সর্বশেষ ধাপে মার্কেটিং চ্যানেলগুলোতে প্রেজেন্টেশনটিকে প্রোমোট করতে হবে।

    ১১. ওয়েবিনারস্ :

    ওয়েবিনারস্ হল অনলাইন সেমিনার, এটি বিজনেস কন্টেন্ট মার্কেটিং এর একটি ফরম্যাট। ওয়েবিনারসে সাধারণত কিউ/এ সেশন এবং একটি প্রেজেন্টেশন থাকে। এক্সপারটাইজ শো অফের জন্য এগুলো সাহায্য করে। ওয়েবিনারসে প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস সম্পর্কিত বর্ননা অ্যাড করা যায়, এতে করে অনলাইন বিজনেসে ইউজার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

    ১২. কুইজ এবং পোলস্ :

    অডিয়েন্সদের অ্যাটেনশন পেতে এটি একটি কার্যকরী মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই অ্যাটেনশন কিভাবে পাওয়া যায়। যখন কোনো বিজনেস ওয়েবসাইটের পোল কোয়েশ্চেনগুলোতে ইউজারেরা অংশগ্রহণ করেন, তখন তারা স্বাভাবিকভাবেই ওয়েবসাইটে এনগেজড্ হয়ে যান।

    ১৩. পোডকাস্ট :

    পোডকাস্ট লিসেনারের সংখ্যা ক্রমাগত বুদ্ধি পাচ্ছে। তাই বর্তমানে এটি গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট ফরম্যাট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি অডিয়েন্স এনগেজমেন্টে সহায়ক।

    ১৪. চেকলিস্ট :

    চেকলিস্ট সবচেয়ে সহজ এবং পপুলার কন্টেন্ট ফরম্যাটগুলোর মধ্যে একটি। এটি ব্লগ পোস্টের মতো কী পয়েন্টগুলো পুল আউট করে তৈরী করা যায়। ওয়ার্ক শীট, টিপ শীট এবং চিট শীট এই ধরণের কন্টেন্ট ফরম্যাটের অন্তর্গত । চিট শীটগুলো পিডিএফ ফাইল হিসেবে এক্সপোর্ট করা যায়।

    ১৫. ইমেইল নিউজলেটার :

    এটি সাধারণত অন্য ফরম্যাটে তৈরি করা কন্টেন্ট হাইলাইট করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ইমেইল নিউজলেটার ডিজাইনিং ডিজিটাল মার্কেটিং প্রসারিত করতে সাহায্য করে।

    কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজিকে আরো প্রসারিত এবং শক্তিশালী করে তুলতে কন্টেন্ট প্রমোট করা প্রয়োজন।

  • একজন আমেরিকান সেলস ম্যানেজার আনহ্যাপি ক্লায়েন্টের সাথে কিভাবে আলাপ শুরু করে?

    একজন আমেরিকান সেলস ম্যানেজার আনহ্যাপি ক্লায়েন্টের সাথে কিভাবে আলাপ শুরু করে?

    ইগো ইজ দ্যা এনিমি।

    এই বইটির লেখক রায়ানের কথা জানতাম। সে তার হাতে এই কথাটাই ট্যাটু একেছিলো।

    আর আমি যে ক্লায়েন্ট ম্যানেজারের কথা বলছি তার নাম হচ্ছে জেশন।

    সে একটা কনটেণ্ট রাইটিং এজেন্সির সিনিয়র ক্লায়েন্ট ম্যানেজার। প্রায় বছর খানেক আগে আমি তাদের কোম্পানীর সাথে যোগাযোগ করছিলাম।

    এর পর এই জেশন প্রতিমাসেই ফোন করতো। যথারীতি আমি বলতাম আমার প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করবো। রাইটার একসেসে আমি যে সেটআপ করে নিয়েছি তাতে আমার অফিসে যারা ইন্টার্ন করে তারাই এখন হ্যান্ডল করতে পারে। তাই অন্য কোম্পানীতে আমার সুইচ করতে ইচ্ছা হচ্ছিলো না।

    তবে মাঝে মাঝে আবার বিভিন্ন কোম্পানী ট্রাই করি। একই সাথে কনটেণ্ট ডিভেলপমেন্ট প্রো আর জেসনদের করপ রাইটিংয়ে দুইটা প্রজেক্ট শুরু করলমা। দুই কোম্পানীই যথেস্ট হতাশ করছে।

    জেসনের কথা বলি। সে সেলসে আছে। সেলসের কাজই হলো ফোন কল দেয়া, মেইল করা ইত্যাদি। তবে জেসনের কেইসটা একটু ভিন্ন মনে হলো। বলা যায় সে লেগে থাকার কারনেই আমি তার কোম্পানীতে অর্ডার করছিলাম।

    তারা যে লেখাটা প্রথম রিভিশন ফুললি রিজেক্ট। আমার দরকার কপি রাইটিং। সে ডেলিভারি যা দিছে তা বলা যায় ব্লগ পোস্টের কাছে কাছি। আমি স্ট্রেইট বললাম সরি এটা একসেপ্ট করা যাবে না। তুমি কি কোন কপি রাইটারকে দিবা কাজটা। দেন সে সাথে সাথে ফোন করলো। অনেক এপোলজি চাইলো। বলার ভঙ্গিমাই যা তাতে আসলে কিছু বলার থাকলো না।

    সেই প্রবলেম শুনলো। তারপর আবার দুইটা ভার্সন পাঠালো। দুই রাইটার দুইটা ভার্সন লিখেছে। এবারও হলো না যা চাচ্ছিলাম তা।

    আমার আর ইচ্ছা হলো না যে তাকে আবার ঠিক করতে বলি। আমি বুঝেছি যে তাদের এতো বুঝিয়ে আজ করা খুবই কঠিন। সে মেইল করলো, ফোন করলো। আমি তাকে জানিয়েছি যে তোমার রাইটারদের যে লেখা তা আমি ইউজ করতে পারবো না।

    সো তোমার কোম্পানী আমি আপতত ইউজ করবো না। সে আবার ফোন করলো। আমি ধরি নাই। মেইল করলো।

    আবার ফোন করলো। আবার ইমেইল করলো। আমি উত্তর দিছি যে দেখ আমার তোমাদের বুঝাতে অনেক সমস্যা হচ্ছে আর আমি এই রিভিশন আপটার রিভিশন লাইক করছি না। এটা সময় নস্ট করে।

    আমার দরকার এমন কাউকে যে আমার কাজ থেকে হিন্টস নিয়ে কাজ করতে পারবে।

    আমার মনে হয় তোমাদের সাথে সেটা হচ্ছে না। তাই আমি অন্য কোম্পানী ইউজ করছি।

    এরি মধ্যে আমি এলেক্সের সাথে যোগাযোগ করি। সে সেলস ফানেল এক্সপার্ট। এলেক্স তার কপি রাইটার অবরেনের সাথে কথা বলতে বললো। অবরেনের সাথে আমি আগে কাজ করেছি। সো কথা বলে ফাইনাল করেই ফেলেছি সব।

    জেসন কাল আবার ফোন করলো। মজার পার্টটা এখানেই। আমি কিন্তু তাকে খুব স্পস্ট ভাবেই বার বার বলেছি যে আমি তার কোম্পানী ইউজ করব না এখন। তারপরও সে আমাকে ফোন করলো। তার ইগো কাজ করে নাই।

    সে শুরুতেই আমি কেমন আছি জিজ্ঞেস করলো। স্বাভাবিক সে জানে আমিও জিজ্ঞেস করবো কেমন আছো। আমি তাই করলাম। আর এটাই সে হুক হিসাবে ব্যবহার করবে আমার সাথে আলোচনা শুরু করতে।

    এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমি ডিসেটিস্ফাইড। তাকে এড়িয়ে চলছি। আমি হয়তো ফোন রেখে দিব এমন সম্ভাবনা ছিলো। বাট সে স্কিলড। সে আমাকে আলোচনা ঢুকিয়ে তারপর বিষয়টা শিথিল করবে।

    যেই আমি জিজ্ঞেস করলাম কেমন আছো। সে বলো আমি খুব হ্যাপি কারন ইংল্যান্ড জিতেছে। আমি বললাম ইংল্যান্ড অনেক স্ট্রং টিম এবার ওয়ার্লকাপ জিতবে হয়তো। খেয়াল করুন সে ইচ্ছাকৃত ক্রিকেটকে বেছে নিছে।

    কারন সে জানে ক্রিকেট আমার পছন্দের একটা বিষয়। কমন কিছু চুজ করতে হয়।

    সে তাই করলো। এরপর ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথা। ইংল্যান্ডের পর গেইলের কারনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তার পছন্দ। তার পর বাংলাদেশ প্রসংগ। শুরু হলো বাংলাদেশ বন্ধনা। এক জন আন হ্যাপি ক্লায়েন্টকে শান্ত করার এর চেয়ে ভালো কিছু আর কি হতে পারে।

    আবার বললো আমি এবার ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর বাংলাদেশ সাপোর্টার তাহলে। কথা গুলো ঠিক পর পর এমনি হয় নি। মাঝে অনেক কথা আছে। সে বার বার বলছি তোমার সাথে কথা বলতে আমার খুব ভালো লাগছে।

    তুমি ভালো জানো। তোমার সাইটটা দারুন। তোমার সাথে আমার অনেক মিল আছে। আমার অনেক ভালও লাগছে কথা বলতে।সে আমাকেও অনেক প্রসংশা করলো। এটাও কিন্তু প্লানড। নেগেটিভ কে পজিটিভ করার স্ট্রটেজি।

    হিউম্যান সাইকোলজীই এমন যে নিজের গুনগান পছন্দ করা। পছন্দ করা শুরু করলেই নেগেটিভ সেন্টিমেন্ট আস্তে আস্তে কুল ডাউন হবে। এতা সে জানে। আর সেটা সে করেছে খুব সিদ্ধ হস্তে। 🙂

    সে প্রায় ৩০ মিনিট কথা বলছে।

    আমার যেহেতু সে প্রসংশা করেছে অবচেতন ভাবেই আমিও তার পজিটিভ জিনিশ গুলো খুজে বলতে শুরু করলাম। তুমি অনেক চেস্টা করছে। বার বার যোগাযোগ করেছে। একটা রাইটারে জায়গায় তিনটা রাইটার ইউজ করছো।

    আমি এপ্রিশিয়েট করি তোমাকে। কিন্তু আমি আসলেই তোমার রাইটারদের ইউজ করতে পারবো না।

    পেয়ে গেলো পরের হুক। এক্সপ্লেইন করা। কেন খারাপ হয়েছে সব। জানালো তার মেইন রাইটার অনুপস্থিত। তাই তাড়াতাড়ি করতে এই রাইটাদের দিয়েছিলো। এই ব্যাখ্যা আপনি যাই বলেন কিছুটা হলেও আগুনে পানি ঢালবেই। 🙂

    আমি বাধ্য হলাম তাকে বলতে আচ্ছা আমি নেস্কট কিছু ওর্ডার করবো। সে কয়টা লেখা দরকার সেটা জানতে চাইলো। সে বার বার আগের কাজের জন্য এপোলজি চাইলো। আমি স্পস্টতই প্যাটার্নটা বুঝতে পারছিলাম।

    আমি ইচ্ছাকৃতই তার সাথে কথা বলছিলাম এটা শেখার জন্য যে সে যেই বিষয়ে ট্রেনিং নিছে হয়তো কয়েক মাস ধরে সেটার কিছু আমি এখনি শিখে নিবো। শেষ অংশ হলো প্রমিজ আদায় করা।

    সে কৌশলে এটা আদায় করে নিয়েছে যে আমি তাকে মেইল করে নেক্সট প্রজেক্টের একটা ব্রিফ পাঠাবো। আমি বার বার বলছিলাম যে ভেকেশানের পর রিকোয়ারমেন্ট জানিয়ে মেইল করবো।

    সে জানে তখন এমন ইচ্ছা নাও থাকতে পারে। সে আমাকে দিয়ে পরের কাজের কমিউনিকেশন শুরু করতে পারলেই তার লক্ষ্য কিছুটা অর্জন হয়। একজন ক্লায়েন্ট হারাবে না। একজন আনহ্যাপি ক্লায়েন্টকে আবার সার্ভ করার সুযোগটা সে পাবে।

    আমি শেষে না পেরেই বললাম আমি তোমাকে কাল ব্রিফ পাঠাবো।

    আমার অপশন অনেক। তার কোম্পানীকে আমি না ইউজ করলে কিছুই হয় না আমার। কিন্তু এই জেসন যে ভাবে ডিল করেছে তাতে আমার চিন্তা পজিটিভ করতেই হলো।

    সেই কথাটাই সত্যি যে আমরা কিন্তু আসলে ইমোশনের কারনে কিনি। ক্রেতার ইমোশন প্রোডাক্টের দিকে টার্ন করতে পারলেই সে কিনি। যেমন ড্রেসটা অনেক সুন্দর এই কারনে সে কিনে না। সে তখনি কিনে যখন দোকানদার এটা কনভিন্স করতে পারে যে এই ড্রেসটা তাকে খুব মানাবে। তাকে সুন্দর লাগবে।

    আমরা এমন করি কি? করি না বলেই পিছিয়ে আছি।

  • ড্রোপড ডোমেইনে আমাজন এফিলিয়েট সাইট হতে পারে ফরচুন মেকার ( জেনে নিন কিভাবে)

    ড্রোপড ডোমেইনে আমাজন এফিলিয়েট সাইট হতে পারে ফরচুন মেকার ( জেনে নিন কিভাবে)

    আমাজন নিশ সাইট নিয়ে কাজ করছেন?

    কিংবা কাজ করার কথা ভাবছেন? জানতে চান র‍্যাঙ্কংয়ের জন্য এখনো গুগল কোন বিষয়টাকে বেশি গুরুত্ব দেয়?

    তাহলে আমি এমন দুইটি সাইটের বিষয় নিয়ে বলবো যারা রীতিমত মেগা সাকসেস পেয়েছে। যাদের সাফল্যের কারন জানতে পারলে আপনিও উপকৃত হতে পারবেন। আপনি আপনার বর্তমান সাইট ও ভবিষ্যত সাইটের জন্য স্ট্রাটেজি তৈরি করতে পারবেন।

    মজার বিষয় হলো এদের এই সাকসেস পাওয়ার ক্ষেত্রে তেমন কোন কস্ট করতে হয় নি। ছোট একটা স্ট্রাটেজি এতে এতো বড় সাফল্য এনে দিয়েছে।

    স্ট্রাটেজিটা হলো ড্রোপড ডোমেইনে নিশ সাইট তৈরি।

    আপনি হয়তো শুনেছেন যে ড্রোপড ডোমেইনে নিশ সাইট তৈরি করে। আমিও জানি। তবে আমি যে দুইটি সাইটের কথা বলছি তাদের যে সাফল্য এমন আমি অন্য সাইটের ক্ষেত্রে দেখিনি। কেমন সাফল্য? চলুন দেখে নেই।

    সাইট দুইটি হলোঃ

    • foodsharkmarfa.com
    • thearchitectsguide.com

    ফুড সার্ক মারফার মান্থলি ভিজিটির দুই লাখের বেশি আর আরকিটেক্ট গাইডের মান্থলি ভিজিটর সাড়ে তিন লাখের বেশি।

    এই দুই সাইটের উদ্যোক্তা আমি নিশ্চিত খুবই স্মার্ট ও দক্ষ। ভালো একটা ডোমেইন নির্বাচন করেই তারা তৈরি করে ফেললো তাদের ভাগ্য। সাধারন ভাবে বলা যায় যে সাইট সাড়ে তিন লাখ ভিজিটর পায় আর অধিকাংশই বায়িং কিওয়ার্ড দিয়ে সেই সাইট মাসে ৩০-৪০ হাজার ডলার আয় করে।

    এই সাফল্য পেতে তাদের অন্যদের মতো কস্ট করতে হয় নি। সাফাল্যও এসেছে খুব অল্প সময়ে। কি ছিলো সাফল্যের সেই রহস্য?

    এই দুইটি সাইটই করা হয়েছে ড্রোপড ডোমেইনের উপর। কেমন ছিলো এই ড্রোপড ডোমেইন গুলো? কেন এই সাইট গুলো এতো ভালো করছে। এই সব প্রশ্নের উত্তর খুজঁতে আমি যে এনালাইসিস করেছি তা এখানে রেকর্ড করছি।



    ভিডিওতে আমি আমার পর্যালোচনা করেছি। সংক্ষিপ্ত আকারে সাফল্যের কারন গুলো হলোঃ

    • স্ট্রং লিঙ্ক প্রোফাইল – যে লিঙ্ক প্রোফাইল কম্পিটিটর সাইট গুলোর নেই আর সহসা তৈরিরও সুযোগ নেই
    • কিওয়ার্ড সিলেকশন – সাইটের লিঙ্ক প্রোফাইলের সাথে সমন্বয় রেখে সেই কিওয়ার্ড গুলো তারা নির্বাচন করে যাদের সার্চ ভলিয়ম ভালো আর সহজেই তারা প্রথম পেইজে র‍্যাঙ্ক করবে। মজার বিষয় হলো অধিকাংশ কিওয়ার্ডের জন্যই তারা প্রথম পজিশনে র‍্যাঙ্ক করে।
    • লং ফরম কনটেণ্ট – অধিকাংশ কনটেণ্ট লং ফরম আর ডিটেইল। যেটা সমসাময়িক এসইওয়ের জন্য বেস্ট প্র্যাকটিস। প্রচুর কিওয়ার্ডের জন্য তাদের পেইজ গুলো র‍্যাঙ্ক করে
    • ফিয়েচারড স্পিনিপিটের জন্য অপটিমাইজ করা
    • অনপেইজ এসইও – কিওয়ার্ডের ব্যবহার, ইন্টারন্যাল লিঙ্ক, এক্সটারনাল লিঙ্ক, এলএসআই কিওয়ার্ড

    এছাড়াও আরো কিছু বিষয় আছে। আমি মেজর গুলো বললাম।

    আমরা এই এনালাইসিস কিভাবে কাজে লাগাতে পারিঃ

    • নেক্সট সাইট তৈরির ক্ষেত্রে দেখবো এমন লিঙ্ক প্রোফাইল সম্পন্ন কোন ডোমেইন পাওয়া যায় কিনা পেলে সেই ডোমেইনের উপর নিশ সাইট তৈরি করবো
    • বর্তমানে যে সাইট আছে তার লিঙ্ক প্রোফাইলকে নিশ অনুযায়ী তৈরি করবো। র‍্যান্ডম সাইট থেকে লিঙ্ক তৈরি করবো না।

    আশাকরি এনালাইসিসটি আপনার উপকারে আসবে। কেমন লাগলো সহ আপনার মন্তব্য কমেন্টে লিখুন। আর অনুরোধ রইলো লেখাটি অন্যদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

    জয়েন করুন বিডিএসই ফেসবুক গ্রুপে -যেখানে আমরা আলোচনা করি ডিজিটাল মার্কেটিং, অনলাইন বিজনেস ও ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার নিয়ে।

  • জেনে নিন লিঙ্ক  বিল্ডিং  সম্পর্কে কেন জানতে হবে আর কিভাবে ৮০ বিলিয়ন ডলারের মার্কেটে নিজে সুযোগ করে নিতে পারেন

    জেনে নিন লিঙ্ক বিল্ডিং সম্পর্কে কেন জানতে হবে আর কিভাবে ৮০ বিলিয়ন ডলারের মার্কেটে নিজে সুযোগ করে নিতে পারেন

    লিঙ্ক বিল্ডিং স্কিলই হতে পারে আপনার স্পেশালাইজেশন আর তার উপর ভিত্তি করে গড়ে তুলতে পারেন নিজের এজেন্সি, বাড়াতে পারেন নিজের বিজনেস বা এফিলিয়েট সাইটের সার্চ র‍্যাঙ্কিং।


    অনলাইন বিজনেসের জন্য এসইও কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা যারা অনলাইন বিজনেসের সাথে জড়িত তারা সবাই উপলব্ধি করে। যে সাইটটি তার প্রধান কিওয়ার্ড গুলোর জন্য সার্চ ইঞ্জিনের প্রথমেই র‍্যাঙ্ক করে তার ক্রেতার সংখ্যা যে সাইটগুলোর কিওয়ার্ড র‍্যাঙ্কিং করে না তার তুলনায় কয়েক গুন।

    কোন কোন ক্ষেত্রে কয়েকশ গুন। বিজনেস গুলোর কাছে তাই এসইও অনেক গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং স্ট্রাটেজি।

    এসইও নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের প্রত্যেকই জানে এসইওয়ের সবচাইতে জটিল পর্বটা হলো লিঙ্ক তৈরি করা। গুগলের কাছে প্রতিটি লিঙ্ক একেকটি ভোট। যে কনটেণ্ট যত ভালো মানের লিঙ্ক পায় গুগল ধরে নেয় সেই কনটেণ্ট তত ভালো।

    কেননা কোন কোন লেখা থেকে তখনই লেখক কোন পেইজকে লিঙ্ক করে যখন সে ঐ লেখাকে তার সাথে সম্পর্কিত ও ঐ ক্যাগারিতে সব চাইতে ভালো মনে করে। মানুষ যেটা ভালো মনে করে গুগল সেটাকে ভালো বলে ধরে নেয়।

    তাই লিঙ্ক সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাঙ্কিংয়ে সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক এক্সপার্টদের মতে লিঙ্ক হচ্ছে র‍্যাঙ্কিংয়ের ১ নাম্বার গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর

    লিঙ্ক ব্যবসায়িক ভাবে এতো  গুরুত্বপূর্ণ তাই লিঙ্ককে ঘিরে তৈরি হয়েছে অনেক বড় ব্যবসা আর অনেক বড় মার্কেট। লিঙ্ক বিল্ডিং সার্ভিস, লিঙ্ক সফটওয়্যার, লিঙ্ক মার্কেট নানা নিশ মার্কেট আছে এই লিঙ্ককে ঘিরে।

    এমন প্রচুর কোম্পানী আছে যারা প্রতিমাসে কয়েক লক্ষ ডলার আয় করে।

    লিঙ্ক বিল্ডিং খুব কস্ট সাধ্য কাজ। লিঙ্ক বিল্ডিং অতটো সহজ বিষয়ও নয়। পেঙ্গুইন  আপডেটের পর লিঙ্ক বিল্ডিং একদিকে যেমন কঠিন হয়েছে অন্যদিকে ব্যয় সাপেক্ষ হয়ে পড়েছে। এণ্টারপ্রাইজ লেভেলে গড়ে একেকটা লিঙ্কের দাম ৩৭৫ ডলারের মত

    পেঙ্গুইন আপডেটের পর লিঙ্ক মার্কেট অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছিলো। আপডেটটা ছিলো যারা বাজে লিঙ্ক তৈরি করেছে, কিংবা লিঙ্ক তৈরি করে র‍্যাঙ্কিং ম্যানিপুলেট করতে চেয়েছে তাদের বিরুদ্ধে একটা শাস্তি মূলক ব্যবস্থা।

    এতে প্রচুর সাইট র‍্যাঙ্ক হারিয়েছিলো। অনেকে নতুন ভাবে লিঙ্ক তৈরি করতে ভয় পাচ্ছিলো।

    অধিকাংশ এসইও এক্সপার্ট যারা লিঙ্ক বিল্ডিং ভিত্তিক সার্ভিস দিচ্ছিলো তাদের কাজ আস্তে আস্তে কমে গিয়ে ছিলো। অনেকে ধীরে ধীরে অন্য স্কিলে চলে গেছে আবার কেউ প্রফেশন চেঞ্জ করেছে।  অনেকটা এমন মনে হচ্ছিলো লিঙ্কের বুঝি আর প্রয়োজন নেই।

    এই ধারনাটা কয়েক বছর আগে শুরু হলেও একেবারে শেষ হয়ে যাই নি। এখনো অনেকে আছে যারা কোন না কোন ভাবে এই ধারনা থেকে বের হতে পারে নি।

    আবার অনেকে লিঙ্ক বিল্ডিংয়ের চাহিদা, সুযোগ, সম্ভাবনা ও প্রয়োজন সম্পর্কে জ্ঞাত না।

    আমার ১২+ বছরের এসইও ইন্ড্রাস্ট্রি এক্সপেরিয়েন্স ও লিঙ্ক বিল্ডিং এজেন্সি চালানোর অভিজ্ঞতায় বলে লিঙ্কের প্রয়োজন কখনো শেষ হবে না। প্রয়োজন থাকবে বলেই মার্কেট থাকবে। কাজের সুযোগ ও ব্যবসার সুযোগ থাকবে।

    প্রফেশনাল বা এন্ট্রেপ্রেনিয়রদের লিঙ্ক সম্পর্কে খুবই ভালো ধারনা থাকা প্রয়োজন। আমি বেশ কিছু কারন ও সম্ভাবনা তুলে ধরছি যে কারনে অবশ্যয় আপনার লিঙ্ক বিল্ডিং সম্পর্কে জানতে হবে।

    ১) ফ্রিল্যান্সার হতেঃ

    যারা একেবারে নতুন ফ্রিল্যান্সিং করতে আগ্রহী তাদের যে কোন একটা স্কিল সম্পর্কে দক্ষ হতে হবে। এসইও হতে পারে সেই স্কিল গুলোর একটি। এসইওতে লিঙ্ক বিল্ডিং কাজই বেশি আউটসোর্স হয়। যে সব কোম্পানী নিজেদের এসইও নিজেরা করে তারা যেমন লিঙ্ক বিল্ডিংয়ের কাজটা আউটসোর্স করে তেমনি, এফিলিয়েট মার্কেটার, ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি ও এসইও এজেন্সি গুলো লিঙ্ক বিল্ডিংয়ের কাজ আউটসোর্স করে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে লংটার্ম করতে চাইলে আর স্কিল হিসাবে যদি এসইও নির্বাচন করেন তবে লিঙ্ক বিল্ডিং আপনাকে শিখতে হবে।

    ২) এসইও এক্সপার্ট হতে হলে

    এসইওতে অনেক গুলো কম্পোনেন্ট আছে। লিঙ্ক বিল্ডিং তার মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটা কম্পোনেন্ট। অনেক এসইও এক্সপার্ট আছে যাদের অনেকেই লিঙ্ক বিল্ডিং সম্পর্কে সাধারণ কিছু আইডিয়া রাখেন। সত্যিকার অর্থে এসইও এক্সপার্ট হতে হলে ক্লায়েন্ট বা নিজের সাইটের র‍্যাঙ্কের জন্য কেমন লিঙ্ক থাকা উচিত সেটা বুঝতে পারা এবং লিঙ্ক বিল্ডিং প্লান তৈরি করে সেটা নিজে বা অন্যকে দিয়ে করতে পারার জন্য লিঙ্ক বিল্ডিং সম্পর্কে আপনার অবশ্যই প্রশিক্ষন থাকতে হবে।

    ৩) এসইওতে লংটার্ম ক্যারিয়ার তৈরিঃ

    এসইওয়ের বাজার অনেক বড়। বলা হয় কেবল ইউএসএতেই এসইয়ের বাজার ৮০ বিলিয়ন ডলার। এসইওয়ের মার্কেট কখনই ছোট হবে না। ক্রমশঃ বাড়তে থাকবে। ক্লায়েন্ট একুইজিশনের ক্ষেত্রে এসইও এখনো সব চাইতে কার্যকর ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি। যেই স্ট্রাটেজি যত গুরুত্বপূর্ণ আর যত বড় তার মার্কেট ততই প্রয়োজন সেই বিষয়ে স্পেশালাইজড প্রফেশনালের।

    এসইও স্পেশালাইজড হিসাবে এসইওয়ের সব গুলো কম্পোনেন্ট সম্পর্কে দক্ষতা থাকলেই ক্যারিয়ারকে একটা শক্ত অবস্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। তাই কেবল অনপেইজ, টেকনিক্যাল এসইও কিংবা কিওয়ার্ড রিসার্চ নয়, সাথে সাথে লিঙ্ক বিল্ডিংটাও শিখতে হবে।

    ৪) ডিজিটাল মার্কেটিং টিম লিডার হতেঃ

    ডিজিটাল মারকেটিং টিম লিডার হতে হলে টিমের সবার যে ধরনের স্পেশালাইজড স্কিল গুলো থাকে সেই বিষয় সম্পর্কে টিম লিডারেরই একটা ধারনা থাকা দরকার। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের স্ট্রাটেজি গুলোর মধ্যে এসইও অবশ্যয় থাকে। আর খুব গুরুত্বপূর্ণ কম্পোনেন্ট হিসাবেই থাকে।

    গুরুত্বপূর্ণ এই স্ট্রাটেজি পরিচালনার জন্য এসইও টিমকে পরিচালনা করতে, পরামর্শ দিতে আর কাজের পর্যালোচনা করতে এসইও টিম যেই বিষয় গুলো নিয়ে কাজ করে তার সম্পর্কে অবশ্যয় জানতে হবে। এসইও টিমের লিঙ্ক বিল্ডিং একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তাই টিম লিডারকে লিঙ্ক বিল্ডিং জানতে ও শিখতে হবে।

    ৫) আমাজন নিশ সাইট পরিচালনা করতে

    ভালো নিশ, ভালো কিওয়ার্ড, ভালো প্রোডাক্ট, ও ভালো কনটেণ্টের পরের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো লিঙ্ক। যে সাইট গুলো কম্পিটিটরদের চেয়ে ভালো আর বেশি লিঙ্ক পাবে সেই সাইট গুলো ভালো করে। অনেকে নিশ সাইট তৈরি করে কিন্তু ডিজায়ার্ড রেজাল্ট পায় না কারন লিঙ্ক তৈরি করতে পারে না বলে আবার লিঙ্ক সম্পর্কে ভালো নলেজ না থাকার কারনে। অনেকে আবার এটা ঠিক করতে পারে না কি লিঙ্ক তৈরি করবে আর কেমন ভাবে তা করবে।

    নিশ সাইট নিয়ে সফল হতে হলে অবশ্যয় লিঙ্ক বিল্ডিং জানতে হবে আর শিখতে হবে। এমন কি লিঙ্ক বিল্ডিং সার্ভিস হায়ার করলেও নিজের লিঙ্ক স্ট্রাটেজি সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।

    ৬) এজেন্সিতে কিংবা ইনহাউজ এসইও এক্সপার্ট হিসাবে জব করতেঃ

    এসইও, ডিজিটাল এজেন্সি ও ইনহাউজ এসইও এক্সপার্টদের সাধারণ সাইটের ফুল এসইওয়ের দ্বায়িত্ব পালন করতে হয়। অনসাইট আপটিমাইজেশনের পাশাপাশি অফসাইটের এসইওয়ের কাজ করতেই হবে। অনেক ক্ষেত্রে হয়তো আউটসোর্স করতে হয়। কিন্তু নিজেদের ঐ স্ট্রাটেজি সম্পর্কে ভালো ধারনা না থাকলে সমস্যা হয়। এসইও এক্সপার্ট হিসাবে যেখানেই জব করুন আপনার লিঙ্ক বিল্ডিং সম্পর্কে জানতেই হবে। শিখতেই হবে।

    ৭) নিজের এজেন্সি তৈরি করতে

    এখানে আমি কিছু ক্ষেত্রে কাজ করতে গেলে কেন লিঙ্ক বিল্ডিং সম্পর্কে জানতে হবে তা তুলে ধরেছি। এর বাইরেও অনেক ক্ষেত্র আছে যেখানে আপনার লিঙ্ক বিল্ডিং সম্পর্কে আপনার দক্ষতা ও জ্ঞানের প্রয়োজন আছে।

    আপনার পালাঃ

    জানতে চাই আপনার মতামত। আমার লেখার কোন অংশের সাথে আপনার দ্বিমত থাকলে আপনার যুক্তি কমেন্টে লিখুন। লেখাটি ভালো লাগলে কমেন্টে আমাদের জানান। বিশেষ অনুরোধ রইলো লেখাটি শেয়ার করার জন্য।