Blog

  • ৫ ধরনের কাস্টোমার এওয়ারনেস লেভেল সম্পর্কে জেনে নিন ( তৈরি করুন সেই অনুযায়ী মার্কেটিং ক্যাম্পেইন)

    ৫ ধরনের কাস্টোমার এওয়ারনেস লেভেল সম্পর্কে জেনে নিন ( তৈরি করুন সেই অনুযায়ী মার্কেটিং ক্যাম্পেইন)

    নতুন কোন মার্কেটিং ক্যাম্পেইন শুরু করার আগে কোন বিষয়টি সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ? কে আপনার প্রসপেক্ট আর কি আপনি বিক্রি করতে চাচ্ছেন এই সব হয়তো আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে। আপনার ধারনা হতে পারে এই দুইটা বিষয় জানলেই হলো।

    আসলে বিষয়টা তেমন না। গ্রেট লিডস নামক এক বইয়ে লিজেন্ডারি কপিরাইটার মাইকেল মাস্টারসন ও জন ফোর্ডে বলেন যে কোন ক্যাম্পেইন শুরু করার আগে আপনার নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত…

    আমার প্রসপেক্ট কি জানে?

    আর এই বিষয়টাই আপনার সাফল্যের পরিমান নির্ধারন করবে কিংবা বলা যায় সাধারণ ও সাকসেস ফুল ক্যাম্পেইনের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো হলো ঃ

    • আপনার সাম্ভাব্য ক্রেতা আপনার কোম্পানী ও প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানে
    • আপনার প্রোডাক্ট যে সমস্যা সমাধান করে তা সম্পর্কে আপনার সাম্ভাব্য ক্রেতা কতটুকু জানে
    • অন্য যে প্রোডাক্ট বা সলিউশন আছে সেই সম্পর্কে কতটুকু জানে আর যারা এই প্রোডাক্ট বা সলিউশন তাদের সম্পর্কে কতটুকু জানে।

    এই সব বিষয়ে আপনার উত্তর আর সেই অনুযায়ী তৈরি করা হেডলাইন, ইন্ট্রো প্যারাগ্রাফ ঠিক করে দিবে আপনি কি ধরনের লিড পাবেন। এই উত্তর গুলো কেমন লিড পাবেন সেটা ছাড়াও আরো কিছু তথ্য আপনাকে দিবে। যেমনঃ

    • ঠিক কতটুকু তথ্য আপনার সাম্ভাব্য ক্রেতার দরকার
    • ঠিক কতটুকু সাম্ভাব্য ক্রেতাকে জানানো প্রয়োজন
    • ঠিক কোন ধরনের প্রোমোশন আপনার প্রয়োজন হবে
    • সাম্ভাব্য ক্লায়েণ্টের সাথে প্রোডাক্টা বা সার্ভিস নিয়ে ঠিক কতটা সরাসরি আলোচনা করা যাবে
    • কি ধরনের অফার সব চাইতে বেশি লিড জেনেরেট করবে

    আমাদের ক্লায়েন্ট ঠিক কতটুকু ইতিমধ্যে জানে এটা আমরা কিভাবে বের করবো?

    উত্তরটা হচ্ছে ক্লায়েন্টের এওয়ারনেস লেভেল থেকে। কপিরাইটার ইউগেন স্কোওয়াচ বলেছেন ক্লায়েন্টের ৫ ধরনের লেভেল অব এওয়ারনেস থাকে।

    • মোস্ট এওয়ার – তারা আপনার কোম্পানী ও সলিউশন সম্পর্কে জানে। তারা আপনার ব্রান্ড লয়েল। আপনার কোম্পানীর ইভেন্ট বা প্রোগ্রামে জয়েন করে। এরা আপনার সবচাইতে ভালো ক্লায়েন্ট। এরা বারংবার আপনার কাছ থেকে কিনবে।
    • প্রোডাক্ট এওয়ার– তারা আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানে। কিন্তু কখনো কিনে নি। তারা কম্পিটিটরের প্রোডাক্ট সম্পর্কেও জানে। তারা নিশ্চিত হতে পারছে না কোন প্রোডাক্টটি তাদের জন্য ভালো হবে।
    • সলিউশন এওয়ার- তাদের সমস্যার সলিউশন আছে এটা তারা জানে। কিন্তু নির্দিস্ট কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে জানে না। আপনার কোম্পানী ইন্ড্রাস্ট্রিতে খুব পরিচিত না হলে তারা আপনার কোম্পানী সম্পর্কে জানে না।
    • প্রবলেম এওয়ার– তারা জানে তাদের সমস্যাটি আছে। সমস্যাটি সম্পর্কে তাদের ধারনা আছে কিন্তু সমস্যাটি সম্পর্কে পুরোপুরি বুঝতে পারে না। তারা আগে এই ধরনের সমস্যা নিয়ে ডিল করে নি। তারা সাম্ভাব্য সলিয়ুশন সম্পর্কেও জানে না।
    • আনএওয়ার -সমস্যা সম্পর্কে কোন ধারনা নাই। তারা জানে না যে ভাবে আছে তার চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে। আপনার প্রোডাক্টটি যদি পুরানো কোন সমস্যা সমাধানের চেস্টা করে তবে আপনার ক্লায়েণ্ট এই লেভেলের।

    এওয়ারনেস লেভেল অনুযায়ী ক্রেতাদের চাহিদা ও প্রয়োজন ভিন্ন ভিন্ন হয়। এওয়ারনেস লেভেল যত কম হবেঃ

    • তত বেশি এডুকেশন প্রয়োজন হবে তার নিকট সেল করতে
    • সেলস পিচে তত অনাগ্রহী হবে
    • আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে তত ইন্ডিরেক্টলি তাকে বলতে হবে

    কাস্টোমার এওয়ারনেস লেভেল নির্ধারণ খুবই জরুরী। কাস্টোমার এওয়ারনেস লেভেল অনুযায়ী সেগমেন্টেশন করে মার্কেটিং ক্যাম্পেইন করলে তার কনভার্সন বেশি হবে।

    কিভাবে কাস্টমোয়ার এওয়ারনেস বের করা যাবেঃ

    আপনি যে সমস্যাটি সমাধান করছে তার সম্পর্কে প্রশ্ন করুনঃ

    • সমস্যাটি সম্পর্কে মানুষ কত ভালো ভাবে জানে
    • প্রসপেক্ট সমস্যা সম্পর্কে জানে তার সম্ভাবনা কেমন
    • বাজারে অন্য আরো কেমন ও কাদের সমাধান রয়েছে
    • এই সমাধান গুলো ঠিক কত পরিচতি

    আপনার কোম্পানী নিয়ে প্রশ্ন করুনঃ

    • আপনার কোম্পানী কতটা পরিচিত
    • প্রসপেক্টের যে সমস্যা সেই ইন্ড্রাস্ট্রিতে আপনার কোম্পানী কতটা পরিচিত
    • প্রসপেক্ট আপনার বিজ্ঞাপন দেখেছে তার সম্ভাবনা কেমন

    আপনার সমাধান সম্পর্কে প্রশ্ন করুনঃ

    • এটি কি একেবারে নতুন? ঠিক কতদিন ধরে মার্কেটে আছে?
    • এটি কি ইউনিক? ঠিক একই রকম সমাধান কি বাজারে আছে?
    • কেমন বিজ্ঞাপন আপনি আগে করেছিলেন

    আপনি যখন এই বিষয় গুলো জানবেন আপনার মার্কেটিং আর সেলস প্রসেস সহজ হয়ে আসবে।

    আমরা যারা অনলাইনে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেল করি বা সেল করার কথা ভাবছি, আমাদের যাদের সাইট আছে কিংবা সাইট তৈরি করার কথা ভাবছি তার যদি কাস্টোমার এওয়ারনেস লেভেল অনুযায়ী মার্কেটিং করি তবে আমাদের সাফল্য অনেক গুন বেড়ে যাবে।


    মাস্টারিং কন্টেন্ট স্ট্রাটেজি কোর্স

    সহজেই এফিয়েট, বিজনেস ও ই-কমার্স সাইটের কনটেণ্ট তৈরি করুন।

  • কনটেণ্ট, কনটেণ্ট স্ট্রাটেজি ও কনটেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কে ধারাবাহিক আলোচনা-১

    কনটেণ্ট, কনটেণ্ট স্ট্রাটেজি ও কনটেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কে ধারাবাহিক আলোচনা-১

    কনটেণ্ট, কনটেণ্ট স্ট্রাটেজি ও কনটেন্ট মার্কেটিং নিয়ে ধারাবাহিক কয়েকটি পর্বের এটি প্রথম পর্ব। ধারাবাহিক এই লেখায় কন্টেট, কন্টেণ্ট মার্কেটিং আর কনটেণ্ট স্ট্রাটেজি নিয়ে গুরুতপূর্ণ কিছু বিষয় তুলে ধরবো। আমার এই লেখার উদ্দেশ্য অনলাইনে বিজনেস তৈরি ও গ্রো করতে কনটেন্ট যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তা তুলে ধরা আর কিভাবে কনটেণ্ট মার্কেটিং নিজের বিজনেসে এপ্লাই করা যায় তা তুলে ধরা।


    যে কোন কিছুর দুইটা সাইট আছে – একটা ভুল আর একটা সঠিক। অনলাইন মার্কেটিংয়ের নানা রকম স্ট্রাটেজি আছে – পেইড এডভার্টাইজমেন্ট, এসইও, ইমেইল মার্কেটিং ইত্যাদি। কেবল একটা পদ্ধতির উপর নির্ভর করাটা ভুল।

    আবার বেটার রেজাল্ট, লো কস্ট, লং টার্ম রিটার্ণ নিয়ে আসে এমন স্ট্রাটেজি ইমপ্লিমেন্ট না করা বিজনেসের জন্য ভুল।

    কনটেণ্ট মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অন্য যেকোনো মার্কেটিং স্ট্রাটেজির তুলনায় সাশ্রয়ী আর উচ্চ আরওআই সম্পন্ন।

    কনটেন্ট ইজ কিং। প্রমানিত সত্যি কথা। এই কথাটা প্রায় সবাই জানে। ওয়েবসাইট মানেই কনটেণ্ট। সেটা অডিও ভিজুয়াল হউক আর টেস্কট হউক। সাইট তৈরির জন্য বেসিক পেইজগুলো থেকে শুরু করে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জন্য প্রয়োজন।

    ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজির সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কম্পোনেন্ট হলো কনটেণ্ট। সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাঙ্ক থেকে, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে, অন্য সাইট থেকে সাইটে ভিজিটর আনতে কনটেণ্ট প্রয়োজন।

    কনটেন্ট মার্কেটিং আবার ক্লায়েন্ট একুইজেশনের ক্ষেত্রে অন্য ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের চেয়ে কয়েকগুন বেশি কার্যকর। কনটেন্ট সাম্ভাব্য ক্রেতার মাঝে আস্থা ও বিশ্বাস আর সম্পর্কে তৈরি করে সহজেই।

    বিটুবি আর বিটুসি মার্কেটারদের ৮০% এর উপরের কনটেন্ট মার্কেটিংকে তাদের কোর স্ট্রাটেজির অংশ করেছে। কারন তারা দেখেছে কনটেণ্ট থেকে লিড আর সেলস জেনেরেট হয় অনেক গুন বেশি।

    এডভার্টাইজমেন্টের মাধ্যমে তাদের কোম্পানীকে যারা খুজে পায় তাদের চেয়ে যারা আর্টিকেল থেকে খুজে পায় তারা অনেক বেশি কনর্ভাট হয়। ক্রেতারা যখন কোন কনটেণ্টকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করে তখন কোম্পানীকেও বিশ্বাস যোগ্য মনে করে।

    মোবাইল আর সোশ্যাল মিডিয়ার ইউজারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এই বিশাল সংখ্যক ব্যবহারীরদের কাছে পৌছাতে হলে প্রয়োজন কনটেণ্ট।

    কনটেন্ট অনেক ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারেঃ

    • কোন কোম্পানীর ব্রান্ড এক্সপোজার বাড়াতে পারে
    • ভিজিটর বাড়াতে পারে
    • লিড বাড়াতে পারে
    • সেলস তৈরি করতে পারে
    • কাস্টোমার সার্ভিসে সাহায্য করতে পারে।
    বায়ার জার্নি

    নানা রকমের কনটেণ্ট, নানান অবজেক্টিভ আর ক্রেতাদের বায়িং জার্নি হয় আলাদা। সব কিছু বিবেচনা নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করতে পারলেই সাফল্য আসে। কিন্তু বিষয় গুলো অতটা সরল রৈখিক না। সব কিছু করতে হয় একটা কৌশল আর পরিকল্পনার মাধ্যমে।

    স্ট্রাটেজি জরুরী।

    কিওয়ার্ড রিসার্চ করে ব্লগ পাবলিশ করলেই কিংবা কিছু তথ্য নিয়ে সাইট তৈরি করলেই বিক্রি বাড়বে না, ব্রান্ডিং তৈরি হবে না। হলেও তেমনটা হবে না যেমনটা হওয়া উচিত। টিকে থাকার জন্য যেমন নির্দিস্ট পরিমান সেলস প্রয়োজন, ঠিক তেমনি ক্রমাগত উন্নতির জন্য সেলস ক্রমশঃ বাড়ানোর প্রয়োজন।

    এমন যদি হয় সুযোগ আছে কিন্তু তা ব্যবহার করা হচ্ছে না তাহলে সেটা বড় হওয়ার জন্য খুবই ক্ষতিকর। ছোট সম্ভাবনাকে বড় করার মাধ্যমেই বড় হতে হয়।

    কনটেন্ট নিয়ে উত্তোরত্তর ভালো ফলাফল পেতে হলে কন্টেন্ট সম্পর্কে, কন্টেণ্ট মার্কেটিং সম্পর্কে আর কনটেণ্ট স্ট্রাটেজি সম্পর্কে সুপস্ট ধারনা থাকা অত্যাবশক।

    শেখাটা গাইডেড হলে সময় বেচে যায় আর সহজেই শেখা যায়।

    নতুনদের কনটেণ্ট সম্পর্কে আর কন্টেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কে জানার লার্নিং কার্বটা একটু দীর্ঘ। একটা ফাউন্ডেশনাল নলেজের প্রয়োজন হয়। কনসেপ্ট বুঝতে হয়, ইলিমেন্ট গুলো বুঝতে হয়, প্রসেস বুঝতে হয়।

    ওয়েবে এই নিয়ে প্রচুর তথ্য আছে। কিন্তু সমস্যা হয় সব গুলো বিষয়কে একত্রিত করে পাওয়া। কনটেণ্টের সাথে কমপ্লিমেন্টরি আর সাপলিমেন্টরি অনেক কিছুই বুঝতে হয়। নতুনদের জন্য তাই বিষয়টা একটু জটিল হয়ে যায়। চেস্টা চালিয়ে গেলে সময় কয়েক গুন  বেশি লাগলেও শেখা যায়।

    কাদের কন্টেন্ট স্ট্রাটিজি জানা বা শেখা উচিত?

    যাদের যে কোন ধরনের অনলাইন বিজনেস আছে, অনলাইন মার্কেটিং প্রফেশনাল, আর যারা নতুন করে বিজনেস শুরু করতে চায়। যিনি অনলাইন বিজনেস পরিচালনা করেন তিনি যদি কন্টেন্ট তার বিজনেসের জন্য কি করতে পারে আর তা কেমন করে করতে হয় জানে তাহলে অবশ্যয় তিনি তার বিজনেস বাড়াতে সঠিক পথে তার টিমকে পরিচালনা করতে পারবেন।

    যিনি নতুন করে বিজনেস শুরু করতে চাচ্ছেন তিনি যদি জানেন কেমন হউয়া উচিত তার সাইটের ইনফরমেশন হায়ারকি, কারা তার বায়ার, তাদের বায়িং জার্নি কেমন আর প্রত্যেক পেইজের জন্য কেমন কনটেন্ট থাকা উচিত তাহলে তিনি খুব ভালো ভাবে সাইটটি তৈরি করতে পারবেন, লিড কালেক্ট করতে পারবেন। লিডকে ক্লায়েণ্ট কনর্ভাট করতে পারবেন।

    কনটেণ্ট স্ট্রাটিজকে খুবই গুরুত্বের সাথেই নতুন ভাবে করতে যাওয়া আর বর্তমানে আছে এমন সব বিজনেসকে নিতে হবে।


    পরের পর্বে আমরা কনটেণ্ট মার্কেটিংয়ের কিছু উদাহরণ নিয়ে আলোচনা করবো। যেখানে আমরা দেখবো কন্টেণ্ট কি ধরনের সাফল্য নিয়ে এসেছে।

  • গ্রামার সফটওয়্যার কিভাবে ভালো আর্টিকেল রাইটার হতে সাহায্য করতে পারে

    আর্টিকেল রাইটার হয়ে ওঠার শেষ ধাপ?

    ধরে নেয়া যাক আমরা অনেক কষ্টে মোটামুটি লিখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। অ্যামেরিকান নেটিভ টোনও কিছুটা বুঝতে ও লিখতে পারছি অনেক ভিডিও দেখে, অডিও শুনে, ব্লগ পড়ে এবং বিশেষ করে মেমরাইজ এ নেটিভ টোন আসবে এমন সব কোর্স করে।

    এখন শেষ জরুরী ধাপটা বাকী।

    একটা সে-ই মানের সফটওয়্যার দরকার যেটা-

    • পুরো আরটিকেলকে একবারে অ্যানালাইজ করবে
    • সেন্টেন্স স্ট্রাকচার ঠিক করবে
    • ফ্রেজের কনটেক্সট ঠিক করবে
    • আর্টিকেলজুড়ে কোন্ ফ্রেজ, শব্দ, বাক্য বেশি ব্যবহার হয়েছে তা বলবে
    • সেই ফ্রেজ/ বাক্য/ শব্দ’র বদলে কী দেয়া যায় সেটা বলবে
    • বুঝতে কষ্ট হয় এমন বাক্যগুলোকে চিহ্নিত করবে এবং সেগুলোর বিকল্প বলবে
    • ক্লিশে ফ্রেজ, বাক্য ও শব্দকে চিহ্নিত করবে এবং সেটার বিকল্প বলবে (ক্লিশে হল, অতি ব্যবহারে যেগুলো গুরুত্বহীন হয়ে গেছে)
    • পুরনোধাঁচের বাতিল শব্দের বদলে নতুন ধাঁচের শব্দ ঠিক করে দিবে
    • যথা সম্ভব সিনোনিম, বাগধারা ও ফ্রেজাল ভার্ব সাজেস্ট করবে
    • আমার ভুলগুলোকে ট্র্যাক করবে এবং সেটা নিয়ে প্র্যাকটিস করার সুযোগ দিবে।

    বাজারে এই ধরনের কিছু সফটওয়্যার আছে। যেমনঃ

    • গ্রামারলি – মূলত নেটিভদের টারগেট করে বানানো
    • জিনজার সফটওয়্যার (নন-নেটিভদের টারগেট করে বানানো
    • প্রোরাইটিং এইড (অনেক অনেক আরটিকেলের জন্য ব্যবহার করা বেশ কঠিন এবং কষ্টসাধ্য, ইউজার ফ্রেন্ডলি নয়)

    এরাই হল সেরা, এদের ধারকাছে কেউ নাই।

    এই তিনটি সফটওয়্যারই ফ্রিতে পাওয়া যায়। ফ্রিতে অনেক কিছু থাকে। মানুষ টাকা বাঁচাতে গিয়ে মূলতঃ ফ্রিটাই ব্যবহার করে। ওতেই তুষ্ট থাকে।

    গ্রামারলি’র ফ্রি তে যে সুবিধা আছে তা সবচে কম। তারচে একটু বেশি দেয় জিনজার।
    আর সবচে বেশি দেয় প্রোরাইটিং এইড। ৫০০ ওয়ার্ড পর্যন্ত প্রিমিয়ামের সব সুবিধাই দেয়।

    অনুসিদ্ধান্তে এলাম,
    একজন রাইটার কখনোই ফ্রি তে তুষ্ট থাকলে এগুতে পারবে না। যেটাই কেনার, অন্তত ১ বছরের জন্য কেনা উচিত। এখন ৫০-১৫০ ডলার বাঁচাতে গিয়ে হয়তো মিলিয়ন ডলারের তলায় পড়বে। কারণ একজন রাইটারের পক্ষে মিলিয়ন ডলারে চলে যাওয়াটা অলেখক অ্যাফিলিয়েট উদ্যোক্তার চেয়ে অনেক সহজ। এখানে ইনভেস্টমেন্ট যেহেতু নিজের সময় ও মেধা, তাই সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধির কোন সীমাবদ্ধতা নেই।

    সুবিধা-অসুবিধা

    গ্রামারলি

    ১. অসম্ভব সহজ ইন্টারফেস।
    ২. যেমনটা বললাম, মূলত নেটিভদের দিকে তাদের খেয়াল।
    ৩. সেন্টেন্স রিকন্সট্রাকশনে যতদূর বুঝলাম জিনজার থেকে পিছিয়ে আছে।
    ৪. বছরের চার্জ ১৪০ ডলার।
    ৫. ভুল থেকে শেখানোর বিষয় আছে কিনা তা নিশ্চিত বলতে পারছি না। সম্ভবত নেই।

    জিনজার

    ১. অনেক সহজ ইন্টারফেস। গ্রামারলির চেয়ে ৫% পিছিয়ে আছে।
    ২. নন-নেটিভদের জন্য অনেক বেশি সাপোর্টিভ।
    ৩. যে কোন সফটওয়্যারের চেয়ে সেন্টেন্স রিকন্সট্রাকশনে এগিয়ে আছে।
    ৪. বছরে চার্জ ৯০ থেকে ১৫০ ডলারের মত। এই আগামী দু চারদিন থাকবে ৬০ ডলার।
    ৫. ভুল থেকে শেখানোর জন্য অসাম ইন্টারফেস।

    প্রোরাইটিং এইড

    ১. বারবার বড় ফাইল নিয়ে কাজ করতে গেলে চোখ ও মনের উপর প্রচন্ড চাপ পড়বে। অতি বেশি লেখা ঠিক করতে গেলে রাতের ঘুম নষ্ট হয়ে যাবে।
    ২. অকারণে এত বেশি অপশন দেয়, যে নন-নেটিভরা সুবিধা পাবার বদলে তালগোল পাকিয়ে ফেলবে। ইংরেজির সহজপাচ্য লটপটি।
    ৩. গ্রামারলি ও জিনজারের চেয়ে সেন্টেন্স রিকনস্ট্রাকশনে অনেক পিছিয়ে আছে।
    ৪. তবে স্ট্যাটস ও চার্টস এর দিক দিয়ে এগিয়ে আছে।
    ৫. অপশনের আধিক্য অভ্যস্ত ইউজারের জন্য অনেক ভাল ও সুবিধাজনক লাগতে পারে, কিন্তু সেটা ইংরেজিতে অতিদক্ষ হবার পর।
    ৬. প্রাইস সাধারণত ৬০ ডলার বছরে। তবে ২০%-৪০% ছাড়ের কুপন/অ্যাফিলিয়েট লিংক পাওয়া যায়।

    তাহলে কী করা উচিত আমাদের?

    ১. অবশ্যই একটা প্রিমিয়াম ব্যবহার করা উচিত অন্তত এক বছরের জন্য।
    ২. নিতান্তই অসম্ভব হলে একই আরটিকেল ফ্রি গ্রামারলি ইন্টারফেস এ পুরোটা একসাথে, ফ্রি জিনজার ইন্টারফেস এ পুরোটা একসাথে ও সবশেষে ফ্রি প্রোরাইটিং এইডে ৪০০ ওয়ার্ড করে কপি করে করে এডিট করে অভ্যস্ত হওয়া উচিত।
    ৩. আমি মনে করি ১৪০ ডলার বিষয় না, কিন্তু গ্রামারলির চেয়ে জিনজার ৬০/৯০ ডলার হলেও সেটা বেশি হেল্পফুল। গ্রামারলি যদি বেশি হেল্পফুল হতো, তাহলে সেটাই নেয়া উচিত হতো।
    ৪. প্রথম দুটার কোনটাই প্রিমিয়াম না কিনে প্রোরাইটিং এইড প্রিমিয়াম কেনা উচিত না। যদি দুটা প্রিমিয়াম ব্যবহার করতে ভাল লাগে, তখন দ্বিতীয় হিসাবে প্রোরাইটিং এইড কেনা যায়।

    বটমলাইনঃ

    আমি কিনছি জিনজার। সাথে আরো প্রায় ৪/৫ জন কিনছে।

  • ভার্চুয়াল এসিসেন্ট কি আর ভার্চুয়াল এসিস্টেণ্ট হয়ে আয় করা যায়

    যে প্রফেশনালগন রিমোট লোকশন হতে কোন ব্যবসা বা ব্যক্তিকে নানা রকমের সাপোর্ট সার্ভিস দিয়ে থাকেন তাদের ভার্চুয়াল এসিস্টেণ্ট বা ভিএ বলা হয়।

    দ্রুত গতির ইন্টারনেটের প্রসারের ফলে ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট হিসাবে কাজ করা কিংবা ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট হায়ার করার বিষয়টি যেমন সহজ হয়েছে ঠিক তেমনি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

    এছাড়া যে সমস্থ ব্যবসায়ীদের কর্মী দরকার কিন্তু তারা তাদের এলাকায় তেমন কাউকে পাচ্ছে না কিংবা অফিসেই নিয়োগ করতে পারছে না তাদের কাছে ভারচুয়াল এসিস্টেন্ট হিসাবে কাউকে নিয়োগ করা খুবই প্রয়োজনীয়।

    ভার্চুয়াল এসিস্টেন্টরা কি ধরনের কাজ করে

    যদিও আগে সাপোর্ট আর এডমিনিস্ট্রিটিভ কাজের সাহায্যের জন্যই ভার্চুয়াল এসিস্টেন্টদের হায়ার করা হতো এখন নানারকমের স্কিল কাজের জন্যও ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট হায়ার করে।

    কোন স্কিল স্পেসিফিক না হলে একজন ভিএকে নানা ধরনের কাজ করতে হয়। যেমন একটা ওয়েব সাইটের নানা ধরনের কাজ করতে হয়- পেইজ যোগ করা, সম্পাদনা করা, এসইও করা, ডিজাইন করা ইত্যাদি।

    আবার কাউকে হয়তো কেবল সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল গুলো ম্যানেজ করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে আবার কাউকে সেলস সাপোর্ট দেয়ার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি নির্ভর করে যিনি হায়ার করবেন তার প্রয়োজন আর যিনি কাজ করবেন তিনি কি কি করতে পারেন তার উপর।

    তবে অনেক ক্ষেত্রে প্রফেশানলাদের স্কিল অনুযায়ী ভিএ স্পেশালাইজেশনের ক্যাটাগরি করা হয়। যেমনঃ

    • ওয়ার্ডপ্রেস ভিএ
    • গ্রাফিস ভিএ
    • সোশ্যাল মিডিয়া ভিএ
    • অফিস ও এডমিন ভিএ
    • ইত্যাদি

    ফ্রিল্যান্সার ও ভার্চুয়াল এসিস্টেন্টের মধ্যে পার্থক্য কি?

    ফ্রিল্যান্সার একটা ব্রড টার্ম। একজন ফ্রিল্যান্সার যে সার্ভিসটি দেন তিনি সেটি স্বাধীন ভাবে দিয়ে থাকেন। তিনি নির্দিস্ট কোণ ক্লায়েন্টের জন্য কাজ করেন না। কারো সাথে প্রজেক্ট ভিত্তিক, কারো সাথে ঘন্টা ভিত্তিক চুক্তিতে কাজ করেন। একজন ফ্রিল্যান্সার রিমোটলি আবার অন সাইটেও উপস্থিত থেকেও কাজ করে থাকেন।

    একজন ভিএ আর ফ্রিল্যান্সারের সাথে খুব বেশি পার্থক্য নেই। ভিএ মুলত ফ্রিল্যান্সিংয়ের একটা অন্তগত বিষয়। একজন ভিএ রিমোটলি কাজ করেন।

  • ভাজ্রিন গ্রুপ ফাউন্ডার রিচার্ড বানসন যিনি ৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের মালিক) ও না বলার উদাহরণ

    চরম সফল ব্যক্তিদের সাফল্যের কারন নাকি তাদের না বলার ক্ষমতা। ওয়ারেন বাফেট তার সাফল্যের কারন গুলোর মধ্যে ১ নং কারন বলতে বলায় বলেছিলো ১০০টি সম্ভামনাময় প্রস্তাবের মধ্যে ৯৯টিতেই আমি না বলি। মূল বিষয়টা হলো ফোকাস। না বলার ক্ষমতা = নিরবিচ্ছিন্ন মনোযোগের ক্ষমতা। নতুন টার্গেট বেশি বেশি না বলা আর নিজের এজেন্ডায় ফোকাস থাকা। 

    না বলা মানে নিজেকে নিয়েই পরে থাকা না। মানে খুব আত্নকেন্দ্রিক বা সেলফিস কিছু না। নিজের কাজ বা লক্ষ্যের সাথে সম্পর্ক নাই এমন বিষয় থেকে দূরে থাকা।

    একবার একটা কনফারেন্সে স্পিচ দেয়ার জন্য রিচার্ডকে এপ্রোচ করা হলো। ১ ঘণ্টা স্পিচের জন্য ১ লক্ষ ডলার দেয়ার কথা বলে যোগাযোগ করা হলো। তার অফিস থেকে জানানো হয়েছে রিচার্ড না করেছে। তারা এবার আড়াই লক্ষ ডলার অফার করলো সাথে তাদের ব্যক্তিগত বিমানে আনা নেয়ার অপার দিলো। এবারো স্ট্রেইট না করে দিলো। উদ্যোক্তাদের ইগোতে লাগলো। তারা বললো একটা ফি বলো যাতে রিচার্ড আগ্রহী হবে। সেই যাই চাইবে তাই পাবে। ব্লাঙ্ক চেক অফার করলো। এবারো তাদের না বলা হলো।

    তখন তারা জানতে চাইলো কারন কি? কেন রিচার্ড আমাদের কনফারেন্সে স্পিচ দিবে না।

    রিচার্ডের অফিস থেকে জানানো হলো রিচার্ড কেবল তার স্ট্রাটেজিক গোলের সাথে যায় এমন বিষয়ের সাথে জড়িত হয়। আর সেটা বিনা পয়সায় হলেও সে করে।

    বিষয়টা এখানে। নিজের লক্ষ্যের সাথে যায় না এমন বিষয় গুলো সেটা যতো আকর্ষণীয় হউক সেটা থেকে নিজেকে সড়িয়ে রাখে বলেই তারা এতো সফল।

  • একেবারে শুন্য থেকে খ্যাতি আর সাফল্যের শীর্ষে উঠা জোয়েল অস্টিনের সাফল্যের কারন

    জোয়েল অস্টিন হলো একজন পাস্টর। তার সম্পদের পরিমান ৬০ মিলিয়ন ডলার। সে যখন তার বাবার কাছ থেকে চার্চের দ্বায়িত্ব নেয় তখন সব কিছু একই রকম যাচ্ছিলো। উন্নতি বলতে তেমন কিছুই হচ্ছিলো না। পরে একটা স্ট্রটেজির কারনে দেখা গেলও জ্যামিতিক হারে তার ফলোয়ার বেড়েছে ও অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে।

    তাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হলো তার সেই সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা সে বললো শুরুতে আমি সব গুলো বিষয়ে জড়িত থাকতাম। স্পিচের সময় লাইট কাজ করছে কিনা সেটাও নিজেই তদারকি করতাম। পরে দেখলাম আমি যদি রবিবারের স্পিচটা ভাল করে দিতে পারি তবেই ফলোয়ার বাড়ে।

    আমি পরে এই কাজটাই করি। ৩০ মিনিটের স্পিচ এটাই আমার কাজ।

    জোয়েল পুরো সপ্তাহ ব্যয় করে রবি বারে দেয়া ৩০ মিনিটের সেই স্পিচের জন্য। বৃহঃ – শুক্র চলে স্ক্রিপ্ট লেখার কাজ। ক্লোজ ডোর। তাকে এই দুই দিন কেউই একসেস করতে পারে না। নো ফোন। নো কনটাক্ট। এমনকি তার ওয়াইফও তাকে একসেস করতে পারে না।

    শনি বার চলে মুখস্থের কাজ। মুখস্থ শেষে ক্লোজ দুইটা গ্রুপের সামনে পুরো স্পিচের রিহার্সেল দেয়। এর পর রবিবারে ফুল হাউজ অর্ডিয়েন্সের সামনে ফুল স্পিচ। ইউটিউবে তার ভিডিও গুলো দেখতে পারেন। কি অসাধারণ ভঙ্গিমা। বাচন ভংগি।

    বলা হয় জুয়েল হচ্ছে আমেরিকার শীর্ষ স্থানীয় একজন কি নোট স্পিকার।

    একটা কাজ। ফুল ফোকাস। যা অন্য কেউ করতে পারবে না। যা করলে অর্গানাইজেশনের গ্রোথ ইঞ্জিন সচল থাকে এমনকি দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলে সেটা করাই হলো তাদের সাফল্যের কারন।

    আমরা যারা মাল্টি ট্যাক্স করি , সব কিছু নিজে করতে চাই, সব কিছুতে ইনভলভ থাকি তাদের ব্যর্থতার কারন এটাই। এট লিস্ট আমার ক্ষেত্রে এটা ১০০ ভাগ প্রযোজ্য। আমার টার্গেট আমার সেই একটা কাজ খুঁজে নেয়া আর সেটাই করা।

    অন্য গুলো যাতে অন্যরা করবে আর সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করাই হলো আমার একটা কাজেr একটা অংশ। ১৫ বছর স্ট্রাগল করার পর এই জিনিষটা এখন শিখলাম। যদি শুরুতেই জানতাম তাহলে নিশ্চয় আমার বিজনেস ২০ টাইম বেটার থাকতো।

    যারা নতুন আর আমার মতো অবস্থায় আছেন বিষয়টি নিয়ে ভাবতে পারেন।

  • স্টিব জবসের না বলা ও ফোকাস থাকা

    এপল অনেক কিছুই তৈরি করেছে। তার মধ্যে কোনটি নিয়ে আপনি প্রাউড ফিল করেন এমন প্রশ্ন স্টিভ জবসকে করলে তিনি বলেন, যা করেছি তা নিয়ে আমি যেমন গর্বিত ঠিক সমান ভাবে যা করি তাই তা নিয়ে আমি গর্বিত।

    স্টিভ আরো জানায় যা করা যাবে না তা ঠিক করাটা যা করতে হবে তার সমান গুরুত্বপূর্ণ। আর এই বিষয়টা ব্যক্তি আর ব্যবসার জন্য একই ভাবে প্রযোজ্য।

    ফোকাস বলতে মানুষ এটা মনে করে যে যা করতে হবে সেটাতেই মনোনিবেশ করা। আসলে বিষয়টি মোটেও সেই রকম নয়। ফোকাস বলতে আরো শত শত ভালো আইডিয়া বা সম্ভাবনাকে না বলাকে বুঝায়। নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যয় সতর্ক হতে হবে। সাফল্যে মানে ১০০০ জিনিষকে না বলা।

    স্টিভ জবসের কথা গুলো পড়লে বুঝতে পারবেন ফোকাস জিনিষটা কি, না বলা বলতে কি বুঝায়। আমরা প্রায় সবাই সাইনি অবজেক্ট সিন্ড্রোমে ভুগি। এক ব্যবসা না দাড়াতে দাড়াতে আরেক ব্যবসার পেছনে ছুটি। একটা স্কিল ভালো ভাবে না শিখে আরেকটা স্কিল শেখার চিন্তা করি।

    যারা উবার এচিভার তাদের না বলার ক্ষমতা, প্যার্টান যদি খেয়াল করেন তাহলে বুঝতে পারবেন তারা কেন সফল। তারা প্রায় সব কিছু থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখে শুধু একটা বিষয়ে পূর্ণ মনোযোগ দেয়ার জন্য।

    স্টিভ জবস যে বিষয়টি এপলের জন্য সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ সে বিষয়ে প্রতিদিন টানা ৩ ঘণ্টা সময় দিতেন।

    আমরা কি করি?

    বলা হয় সোশ্যাল মিডিয়া যুগে এখন সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ স্কিল হলো ডিস্ট্রাকশন থেকে দূরে থাকার স্কিল।

    এটা আমাদের প্রায় সবার নিচের সমস্যা গুলো আছেঃ

    ১) নানা প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করার সমস্যা 
    ২) প্রায় সব স্কিলে মাস্টার হতে যাওয়ার সমস্যা
    ৩) সহজেই কনসেন্ট্রেশন হারানোর সমস্যা

    গত কয়েক মাস আগে আমি বলেছিলাম আমার মনে হয় আমার এটেনশন ডিফিসিয়েন্সি সিন্ড্রোম আছে। কোন কাজে টানা ১০ মিনিট কনসেণ্ট্রেশন দিতে পারি না। আমি কাজ করছি আর অনেক ইম্প্রভ হয়েছে।

  • মার্ক কিউবানের মতে ব্যবসায় ব্যর্থ হওয়ার এক নাম্বার কারন

    ব্যবসায়ী মার্ক কিউবান বেশ ইন্টারেস্টিং ক্যারেক্টার। ছোট বেলা থেকেই ব্যবসার প্রতি মনোযোগী ছিলেন। সকুলে থাকতেই বেইসবল প্লেয়ারদের কার্ড বিক্রি করতেন। মার্ক বিলোনিয়ার ব্যবসায়ী। অনেক বড় বড় ব্যবসা তৈরি করেছেন।

    চমৎকার সব সাহসী উদ্যোগ নিয়েছিলেন। টেকনোলজি, মুভি, টিভি, স্পোর্স্টস সহ নানা ইণ্ড্রাস্ট্রিতে অনেক বড় বড় ব্যবসা তৈরি করেছেন। বিলবোর্ডডট কম তার ছিল। যেটি তিনই ইয়াহুর কাছে ৬ প্লাস বিলিয়ন ডলারে বিক্রি করেছিলেন।

    তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো যে ব্যবসায় ব্যর্থ হওয়ার এক নাম্বার কারন কি। তিনি বললে জ্ঞান আর চেষ্টার অভাব। অসম্ভব ভাগ্যবান না হলে আপনি কখনো এমন বিজনেস পাবেন না যেখানে কোন প্রতিযোগীতা নাই।

    তার মানে হলো আপনি যখন শুরু করছেন তখন এমন অনেকে আছে যারা আগে থেকে ঐ বিজনেস সম্পর্কে জানে। আপনি যদি এমন একটা বিজনেস শুরু করেন যেখানে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী ঐ ব্যবসা সম্পর্কে আপনার ক্লায়েন্ট সম্পর্কে বেশি জানে তাহলে আপনি অবশ্যই লস করবেনই।

    সমস্যা হলো অধিকাংশ উদ্যোক্তাই এই বিষয়টি বিবেচনায় নেয় না। তারা তাদের ইণ্ড্রাস্ট্রি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে না। ক্লায়েন্ট সম্পর্কে জানে না।

    তাদের সেটাই করতে হবে। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে বেশি জানতে হবে আর বুঝতে হবে। এটাই হলো একই সাথে জ্ঞান আর চেষ্টা বিষয়। আপনি যদি আমার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে আসেন আপনাকে অবশ্যয় আমার চেয়ে ভালো হতে হবে।

    আমার চেয়ে বিজনেস সম্পর্কে বেশি জানতে হবে। আমি যদি আপনার চেয়ে বেশি জানি তাহলে অবশ্যয় আপনাকে বিজনেস থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিবো। এই না জানার বিষয়টি আর চেষ্টা না করাই হলো শুরুতেই উদ্যোক্তাদের ব্যর্থ হওয়ার কারন।

    মার্কের কথায় আমার অনেক কিছুতে ব্যর্থ হওয়ার কারন যেমন খুঁজে পেয়েছি ঠিক তেমনি অনেকে কেন ব্যর্থ হয় সেটাও বুঝতে পারছি। সফল হতে হলে অবশ্যয় প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে ইন্ড্রাস্ট্রি সম্পর্কে বেশি জানতে ও চেষ্টা করতে হবে। সবার চেয়ে বেশি জানলে আর প্রতিযোগীরা যখন বিশ্রাম করবে তখন আপনি বিজনেস বাড়াতে কাজ করবেন এমন হলে উদ্যোগী আপনি হতেই পারেন।

  • টেকনিক্যাল এসইওঃ কেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ?

    লিঙ্ক তৈরি করলেন, কিছু অনপেইজ এসইও করলেন, ইন্টারনাল কিছু লিঙ্ক তৈরি করলেন, এক্সটার্নাল কিছু লিঙ্ক করলেন। তারপরও দেখা যায় আপনার সাইট ভালো করছেন না তার কারন হতে পারে টেকনিক্যাল এসইও।

    একটা সাইট প্রথমতঃ টেকনিক্যালি সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি হতে হবে। ক্রলিং, ইণ্ডেক্সিং রিলেটেড ইস্যু থাকলে সেটা কখনই টপ রেজাল্ট আশা করা যায় না।

    আপনারা যারা সাইটের সাথে জড়িত তা সেটা বিজনেস সাইট হোক আর ব্লগ কিংবা এফিলিয়েট হোক আপনাদেরকে অবশ্যয় টেকনিক্যাল এসইও কে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে।

    কারন …

    পুরানো কোন সাইটের এসইও শুরু হয় অডিট দিয়ে। অনেক ধরনের অডিটের মধ্যে টেকনিক্যাল এসইও অডিট একটা। টেকনিক্যাল এসইও অডিট করার স্কিল বেশ ভ্যালুয়েবল একটা স্কিল।

    এছাড়া যারা ভালো করতে চাইবে অথবা টিকে থাকতে চাইবে তাদের এই স্কিল ডেভেলপমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    নিচের বিষয় গুলোতে সমস্যা থাকলে যে কোন সাইটের র‍্যাঙ্কিং সাফার করবে।

    • Canonical Tag Misformation
    • HTTPS Migration Errors
    • Redirect Chains
    • Links Hidden in JavaScript
    • Competitor monitoring/analysis
    • Broken Internal URLs
    • Orphaned Content
    • Poor Internal Linking
    • Overly Dynamic URLs
    • Slow Page Speed
    • URLs Available Under Multiple Protocols
    • Robots.txt Blockages
    • Outdated XML Sitemaps
    • Misuse of Noindex Tags
    • Link Equity Sculpting
    • Non-Descriptive Anchor Text
    • Wasted Crawl Budget
    • Prev-Next Tags Without Crawlable Links

    প্রথম কথা হলো এই বিষয় গুলো কি কিভাবে ফিক্স করতে হয় তা জানা খুবই গুরুত্বপুর্ণ। কোন সাইটের এই ধরনের প্রবলেম থাকলে তার ম্যানুয়্যালি রিপোট তৈরি করা প্রায় অসম্ভব।

    এই জন্য আপনার এসইও টুলস ব্যবহার করতে হবে। যেসব টুলস এই সব ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে:

  • এক সাথে কয়েকজন মিলে বড় কিছু করার মানষিকতা তৈরি করুন

    অনলাইন বিজনেসকে কেন্দ্র করে প্রচুর স্টার্টআপ আছে যেই গুলো মার্কেটাররা তৈরি করেছে। এসইও, টুইটার, ফেসবুক কেন্দ্রিক অনেক টেকনলোজী কোম্পানি আছে।

    লরা মার্কেটার। সোশ্যাল মিডিয়া শিডিউলার সফটওয়্যার মিটগার তার একটা স্টার্টআপ।লরা ছিলো মার্কেটার। ক্লায়েন্টের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট ম্যানেজ করতো। তার আলাদা একটা সোশ্যাল মিডিয়া সিডিউলার দরকার হয়ে পড়ল। সে দেখলো তার মতো অনেক মার্কেটারের একই রকমের একটা টুলস দরকার। তার এই আইডিয়া থেকেই সে মিটগার তৈরি করলো।

    চমৎকার একটা বিষয় হলো এই স্টার্টআপের চালুর আগে সে প্রায় ১০ মিলিয়ন ফান্ড রেইজ করেছিলো।

    আমাদের গ্লোবালি যেমন সুযোগ আছে ঠিক তেমনি দেশীয় বাজারের জন্যও অনেক সুযোগ আছে। মানে টুলস, এসপস, প্লাগিন, সাস এপ্লিকেশন তৈরি করার।


    সমস্যা হলো কিভাবে এই স্টার্টআপ তৈরি করা যায় তা নিয়ে আমাদের এখানে খুব বেশি আলোচনা হয় না। ওয়েবেও পযার্প্ত কনটেণ্ট বাংলায় পাওয়া যায় না।

    আপনারা যদি খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন আমাদের দেশের অধিকাংশ অনলাইন প্রফেশনালদের অভিজ্ঞতা এখন ৫+ হয়েছে। অনেকের ১০ বছরের কাছাকাছি।

    মার্কেট ও স্কিল সম্পর্কে তাদের যথেস্ট নলেজ আছে।

    নিজের কথা যদি বলি এটা অনেক আগেই আমি ভেবেছি যে শুরুতেই যা করেছি এখনো তা করার মানে হয় না। শুরুতে আমার নলেজ ছিলো না, অভিজ্ঞতা ছিলো না। অনেকটা আন্দাজেই এই ইণ্ড্রস্ট্রিতে ঢুকা।

    এখন অনেক কিছু জানি। কি কিভাবে কাজ করে তা বুঝি। এখন এমন একটা স্টেপ নিতে হবে যা আগামী ১০ এমন কি তার বেশি বছর ধরে আমি করতে পারবো। যাতে আমি প্রতিনিয়ত রিইনভেস্ট করতে পারবো।

    আপনাদের ক্ষেত্রেও তাই। একই লেভেলে আটকে না থেকে আরো বিগার কিছু করার চিন্তা করতে হবে।

    বিগার কিছু একা করা খুব কঠিন।

    স্টার্টআপ নিয়ে পড়লে আপনারা বুঝতে পারবেন কিভাবে কয়েকজন মিলে একটা বড় অনেক বড় বিজনেস তৈরি করে।

    আমার জানা মতে আমাদের এখানে প্রচুর নিশ সাইট নিয়ে চেস্টা করেছে। শিখেছে অনেক কিছু। কোর্স করেছে। ওয়ার্কসপ করেছে। ১০০ জনে হয়তো ৫-১০ জন ভালো করেছে। কিন্তু অধিকাংশই ফেইল করেছে। এই ফেইল করাটা কোন বিষয় না। ফেইল নিয়ে সবাই যেটা বলে ফেইল করা মানে ব্যর্থ না। ফেইলে বড় প্রাপ্তি লেসন।

    এই লেসন ভ্যালুয়েবল এসেট। মানি মেইক করার জন্য। ক্যারিয়ার তৈরি করার জন্য।

    ফেইল শুধু নিজের কারনে করে না। বাস্তবতা চেঞ্জের কারনেও করে।

    এখন বাস্তবতা হলো ছোট ছোট নিশ সাইট কে কেন্দ্র করে ভালো করা কঠিন। লার্জ সাইট গুলো ভালো করছে। কারন এসইও চেঞ্জ। লার্জ সাইট তৈরি করা সময় আর অর্থের ব্যাপার। সাথে নলেজ।

    একা চেস্টা না করে ৫ জন মিলে একটা সাইট করার উদ্যোগ নিলে সফল হওয়ার চান্স অনেক বেড়ে যায়।

    সত্যি অর্থে কো-ফাউন্ডিং আমাদের এখানে খুবই চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু পড়াশুনা করলে এই বিষয়ে জানা থাকলে এটি খুবই সহজ হিসাব।

    এই নলেজ শুধু নিশ সাইট কেন্দ্রিক না প্রোডাক্ট অরিয়েণ্টেডও হতে পারে।

    এখন চিন্তাটা চেঞ্জ করতে হবে। একা বেশি দূর কেন হয়তো কিছু দূরও যাওয়া সম্ভব না। তাই যেতে হবে একত্রে কয়েকজনকে নিয়ে।