একেবারে শুন্য থেকে খ্যাতি আর সাফল্যের শীর্ষে উঠা জোয়েল অস্টিনের সাফল্যের কারন

জোয়েল অস্টিন হলো একজন পাস্টর। তার সম্পদের পরিমান ৬০ মিলিয়ন ডলার। সে যখন তার বাবার কাছ থেকে চার্চের দ্বায়িত্ব নেয় তখন সব কিছু একই রকম যাচ্ছিলো। উন্নতি বলতে তেমন কিছুই হচ্ছিলো না। পরে একটা স্ট্রটেজির কারনে দেখা গেলও জ্যামিতিক হারে তার ফলোয়ার বেড়েছে ও অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে।

তাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হলো তার সেই সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা সে বললো শুরুতে আমি সব গুলো বিষয়ে জড়িত থাকতাম। স্পিচের সময় লাইট কাজ করছে কিনা সেটাও নিজেই তদারকি করতাম। পরে দেখলাম আমি যদি রবিবারের স্পিচটা ভাল করে দিতে পারি তবেই ফলোয়ার বাড়ে।

আমি পরে এই কাজটাই করি। ৩০ মিনিটের স্পিচ এটাই আমার কাজ।

জোয়েল পুরো সপ্তাহ ব্যয় করে রবি বারে দেয়া ৩০ মিনিটের সেই স্পিচের জন্য। বৃহঃ – শুক্র চলে স্ক্রিপ্ট লেখার কাজ। ক্লোজ ডোর। তাকে এই দুই দিন কেউই একসেস করতে পারে না। নো ফোন। নো কনটাক্ট। এমনকি তার ওয়াইফও তাকে একসেস করতে পারে না।

শনি বার চলে মুখস্থের কাজ। মুখস্থ শেষে ক্লোজ দুইটা গ্রুপের সামনে পুরো স্পিচের রিহার্সেল দেয়। এর পর রবিবারে ফুল হাউজ অর্ডিয়েন্সের সামনে ফুল স্পিচ। ইউটিউবে তার ভিডিও গুলো দেখতে পারেন। কি অসাধারণ ভঙ্গিমা। বাচন ভংগি।

বলা হয় জুয়েল হচ্ছে আমেরিকার শীর্ষ স্থানীয় একজন কি নোট স্পিকার।

একটা কাজ। ফুল ফোকাস। যা অন্য কেউ করতে পারবে না। যা করলে অর্গানাইজেশনের গ্রোথ ইঞ্জিন সচল থাকে এমনকি দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলে সেটা করাই হলো তাদের সাফল্যের কারন।

আমরা যারা মাল্টি ট্যাক্স করি , সব কিছু নিজে করতে চাই, সব কিছুতে ইনভলভ থাকি তাদের ব্যর্থতার কারন এটাই। এট লিস্ট আমার ক্ষেত্রে এটা ১০০ ভাগ প্রযোজ্য। আমার টার্গেট আমার সেই একটা কাজ খুঁজে নেয়া আর সেটাই করা।

অন্য গুলো যাতে অন্যরা করবে আর সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করাই হলো আমার একটা কাজেr একটা অংশ। ১৫ বছর স্ট্রাগল করার পর এই জিনিষটা এখন শিখলাম। যদি শুরুতেই জানতাম তাহলে নিশ্চয় আমার বিজনেস ২০ টাইম বেটার থাকতো।

যারা নতুন আর আমার মতো অবস্থায় আছেন বিষয়টি নিয়ে ভাবতে পারেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *