Category: স্কিলস

  • ভার্চুয়াল এসিসেন্ট কি আর ভার্চুয়াল এসিস্টেণ্ট হয়ে আয় করা যায়

    যে প্রফেশনালগন রিমোট লোকশন হতে কোন ব্যবসা বা ব্যক্তিকে নানা রকমের সাপোর্ট সার্ভিস দিয়ে থাকেন তাদের ভার্চুয়াল এসিস্টেণ্ট বা ভিএ বলা হয়।

    দ্রুত গতির ইন্টারনেটের প্রসারের ফলে ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট হিসাবে কাজ করা কিংবা ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট হায়ার করার বিষয়টি যেমন সহজ হয়েছে ঠিক তেমনি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

    এছাড়া যে সমস্থ ব্যবসায়ীদের কর্মী দরকার কিন্তু তারা তাদের এলাকায় তেমন কাউকে পাচ্ছে না কিংবা অফিসেই নিয়োগ করতে পারছে না তাদের কাছে ভারচুয়াল এসিস্টেন্ট হিসাবে কাউকে নিয়োগ করা খুবই প্রয়োজনীয়।

    ভার্চুয়াল এসিস্টেন্টরা কি ধরনের কাজ করে

    যদিও আগে সাপোর্ট আর এডমিনিস্ট্রিটিভ কাজের সাহায্যের জন্যই ভার্চুয়াল এসিস্টেন্টদের হায়ার করা হতো এখন নানারকমের স্কিল কাজের জন্যও ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট হায়ার করে।

    কোন স্কিল স্পেসিফিক না হলে একজন ভিএকে নানা ধরনের কাজ করতে হয়। যেমন একটা ওয়েব সাইটের নানা ধরনের কাজ করতে হয়- পেইজ যোগ করা, সম্পাদনা করা, এসইও করা, ডিজাইন করা ইত্যাদি।

    আবার কাউকে হয়তো কেবল সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল গুলো ম্যানেজ করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে আবার কাউকে সেলস সাপোর্ট দেয়ার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি নির্ভর করে যিনি হায়ার করবেন তার প্রয়োজন আর যিনি কাজ করবেন তিনি কি কি করতে পারেন তার উপর।

    তবে অনেক ক্ষেত্রে প্রফেশানলাদের স্কিল অনুযায়ী ভিএ স্পেশালাইজেশনের ক্যাটাগরি করা হয়। যেমনঃ

    • ওয়ার্ডপ্রেস ভিএ
    • গ্রাফিস ভিএ
    • সোশ্যাল মিডিয়া ভিএ
    • অফিস ও এডমিন ভিএ
    • ইত্যাদি

    ফ্রিল্যান্সার ও ভার্চুয়াল এসিস্টেন্টের মধ্যে পার্থক্য কি?

    ফ্রিল্যান্সার একটা ব্রড টার্ম। একজন ফ্রিল্যান্সার যে সার্ভিসটি দেন তিনি সেটি স্বাধীন ভাবে দিয়ে থাকেন। তিনি নির্দিস্ট কোণ ক্লায়েন্টের জন্য কাজ করেন না। কারো সাথে প্রজেক্ট ভিত্তিক, কারো সাথে ঘন্টা ভিত্তিক চুক্তিতে কাজ করেন। একজন ফ্রিল্যান্সার রিমোটলি আবার অন সাইটেও উপস্থিত থেকেও কাজ করে থাকেন।

    একজন ভিএ আর ফ্রিল্যান্সারের সাথে খুব বেশি পার্থক্য নেই। ভিএ মুলত ফ্রিল্যান্সিংয়ের একটা অন্তগত বিষয়। একজন ভিএ রিমোটলি কাজ করেন।

  • টেকনিক্যাল এসইওঃ কেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ?

    লিঙ্ক তৈরি করলেন, কিছু অনপেইজ এসইও করলেন, ইন্টারনাল কিছু লিঙ্ক তৈরি করলেন, এক্সটার্নাল কিছু লিঙ্ক করলেন। তারপরও দেখা যায় আপনার সাইট ভালো করছেন না তার কারন হতে পারে টেকনিক্যাল এসইও।

    একটা সাইট প্রথমতঃ টেকনিক্যালি সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি হতে হবে। ক্রলিং, ইণ্ডেক্সিং রিলেটেড ইস্যু থাকলে সেটা কখনই টপ রেজাল্ট আশা করা যায় না।

    আপনারা যারা সাইটের সাথে জড়িত তা সেটা বিজনেস সাইট হোক আর ব্লগ কিংবা এফিলিয়েট হোক আপনাদেরকে অবশ্যয় টেকনিক্যাল এসইও কে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে।

    কারন …

    পুরানো কোন সাইটের এসইও শুরু হয় অডিট দিয়ে। অনেক ধরনের অডিটের মধ্যে টেকনিক্যাল এসইও অডিট একটা। টেকনিক্যাল এসইও অডিট করার স্কিল বেশ ভ্যালুয়েবল একটা স্কিল।

    এছাড়া যারা ভালো করতে চাইবে অথবা টিকে থাকতে চাইবে তাদের এই স্কিল ডেভেলপমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    নিচের বিষয় গুলোতে সমস্যা থাকলে যে কোন সাইটের র‍্যাঙ্কিং সাফার করবে।

    • Canonical Tag Misformation
    • HTTPS Migration Errors
    • Redirect Chains
    • Links Hidden in JavaScript
    • Competitor monitoring/analysis
    • Broken Internal URLs
    • Orphaned Content
    • Poor Internal Linking
    • Overly Dynamic URLs
    • Slow Page Speed
    • URLs Available Under Multiple Protocols
    • Robots.txt Blockages
    • Outdated XML Sitemaps
    • Misuse of Noindex Tags
    • Link Equity Sculpting
    • Non-Descriptive Anchor Text
    • Wasted Crawl Budget
    • Prev-Next Tags Without Crawlable Links

    প্রথম কথা হলো এই বিষয় গুলো কি কিভাবে ফিক্স করতে হয় তা জানা খুবই গুরুত্বপুর্ণ। কোন সাইটের এই ধরনের প্রবলেম থাকলে তার ম্যানুয়্যালি রিপোট তৈরি করা প্রায় অসম্ভব।

    এই জন্য আপনার এসইও টুলস ব্যবহার করতে হবে। যেসব টুলস এই সব ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে:

  • কনটেণ্ট ইজ কিংঃ কনটেণ্ট তৈরির স্কিলের গুরুত্ব কেমন?

    কনটেন্ট তৈরি করার স্কিল অনলাইনে যে কোন কিছু করার জন্য আপনার মতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ? মানে কতটা ভ্যালুয়েবল? কতটা রিওয়ার্ডিং? এমন একটা প্রশ্ন করেছিলাম বিডিএসইও গ্রুপে। অনেকেই এই স্কিলের গুরুত্ব সম্পর্কে মত দিয়েছে।

    আমার মতেঃ

    কনটেন্ট ক্রিয়েশন অনলাইনের জন্য খুবই গুরুতপূর্ণ। খেয়াল করে দেখবেন দেশে অনেক প্রোগ্রামার তৈরি হয়েছে, ডিজাইনার তৈরি হয়েছে, মার্কেটার তৈরি হয়েছে, সেই অর্থে কনটেন্ট ক্রিয়েটর/রাইটার তৈরি হয়নি।

    কারন অনেক হতে পারে। কনটেণ্ট তৈরি করার দক্ষতা তৈরি একটু ভিন্ন। ইংরেজীতে আমাদের দূর্বলতা হয়তো একটা সমস্যা। আরেকটা সমস্যা ছিলো আমাদের এডুকেশন সিস্টেমে। মুখস্থ করে পরীক্ষা দেয়ার কারনে সৃজনশীলতা কাজ করে না।

    এই গুলো সবই অভারকাম করা যায় যদি চেস্টা করা হয়।

    কনটেণ্ট নিয়ে তেমন আলোচনা হয় না। গুরুত্ব দেয়া হয় না। সুযোগের কথা, প্রয়োজনীয়তার কথা নিয়ে কথা হয় না। কেউই করে না।
    যারা এন্ট্রেপ্রেনিয়র তারা বলে না। যারা সিনিয়র তারাও বলে না।

    ওয়েবের টপ স্কিল হলো কনটেণ্ট তৈরি করার ক্ষমতা। কেউ যদি তা করতে পারে ডেফিনিটলি সে আর্ন করবেই। ডিজাইনার, মার্কেটার, প্রোগ্রামার যাই হোক তার রাইটিং স্কিল লাগবে নিজেকে তুলে ধরতে। তার সার্ভিস সেল করতে।

    না পারলে করা যায় না তা না। বিভিন্ন ভাবেই হয়। প্রত্যেকে আসলে কনটেণ্ট তৈরি করে। ডিজাইনই একটা কনটেণ্ট। স্ক্রিপ্টই একটা কনটেন্ট।

    কিন্তু সেই কনটেণ্টকে মানুষের কাছে পৌছানোর জন্য যে কনটেণ্ট সেটা করতে পারলে সাফল্য অনেক বেশি আসে।

    লেখা অর্ডিয়েন্স তৈরি করে। অর্ডিয়েন্স তৈরি করতে পারলে নানা রকমের আয়ের সুযোগ থাকে। ওয়েবে কনটেণ্টই কিং। সো এই বিষয়টা খুবই গুরুত্ব দিয়ে দক্ষতা তৈরির চেস্টা করা উচিত।

    বিডিএসইও গ্রুপের আলোনাটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন।