Category: নিশ সাইট

  • স্পেনসার কিভাবে কিওয়ার্ড আইডিয়া খুজে পায়?

    স্পেনসার কিভাবে কিওয়ার্ড আইডিয়া খুজে পায়?

    স্পেনসার হলো কনটেণ্ট সাইটের সবচাইতে বিগ ব্রান্ড। উনিই প্রথম নিসপারসুটডটকমের মাধ্যমে লংটেইল কিওয়ার্ড ফোকাস সাইট তৈরিকে বিপুল সংখ্যক মার্কেটারের কাছে পৌছে দিয়েছে।

    স্পেনসারের সাফল্যের কারন কিওয়ার্ড রিসার্চ। তার বর্তমানের পাবলিক সাইট owntheyard.com এর কিওয়ার্ড গুলো এনালাইসিস করলে অনেক কিছুই শেখার আছে।

    যেমন ধরুন তার সাইটটা একটা ইয়াড নিয়ে।

    সাইটের একটা কিওয়ার্ড হলো bbq party games ideas for adults।

    প্রশ্ন হচ্ছে এই কিওয়ার্ড আইডিয়াটা সে কিভাবে পেলো?

    এই ধরনের কিওয়ার্ড আইডিয়া খুজে পাওয়ার মাধ্যমেই আসলে নিশ সাইটের সাফল্য নিহিত। যারা কিওয়ার্ড রিসার্চ শিখতে চায় তাদের এই বিষয়টা ভালো করে বুঝতে চেস্ট করতে হবে। আবার অনেক পুরানো নিশ সাইট এন্ট্রেপ্রেনিয়রদের জন্য বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ।

    অধিকাংশ ক্ষেত্রে একটা নিশ খুজে পাওয়ার পর সবাই সেই নিশের কিছু কিওয়ার্ডকে বেইজ ধরে রিসার্চ করে। কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস গুলো সেই কিওয়ার্ড গুলোকেই দেখায় যে গুলোতে কিওয়ার্ডটি কোন না কোন ভাবে উপস্থিত। ধরুন kichen knife কারো নিশ, তখন তিনি কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলসে kichen knife ব্যবহার করে কিওয়ার্ড খুজে পাওয়ার চেস্টা করবে। এতে করে সে যে অল্প কিছু ভাল কিওয়ার্ড খুজে পায়। যেই কিওয়ার্ড গুলো আবার অনেকে টার্গেট করে।

    ভালো করার জন্য ভালো পরিমানে ভালো কিওয়ার্ড লাগবে। ভালো কিওয়ার্ড বলতে যেই গুলো আপনি সেই কারনেই নিবেন যে গুলোর জন্য আপনি র‍্যাঙ্ক করবেন এটা প্রায় নিশ্চিত। স্পেন্সারের টেকনিকটা সেটা। অনেক পরিমানে ভালো কিওয়ার্ড খুজে পায়।

    এনালাইসিস করে সেই পদ্ধতিটা বের করা যাবে। এখানে তাই করার চেস্টা করবে। যদি এই প্রসেসটা কেউ আয়ত্ত্বে আনতে পারে তাহলে সে তার সাইট নিয়ে ভালো করার সম্ভাবনা বেশ কয়েক গুণ বাড়িয়ে ফেলতে পারবে।

    আমি চেস্টা করবো আমার বিশ্লেষন গুলো এখানে তুলে ধরতে। উল্লেখ্য যে এই ধরনের বিশ্লেষন সময় নিয়ে ও আরো বিস্তারিত ভাবে করা সম্ভব। আমি আমাদের ইন্টার্নাল টিমকে এই বিষয়ে এখন প্রশিক্ষিত করার চেস্টা করছি।

    প্রতিদিনই এই বিষয় গুলো নিয়ে নতুন নতুন বিশ্লেষন আমি হয়তো তাদের কাছে তুলে ধরবো। শেয়ার করা যায় এমন বিষয় গুলো আমি এই পেইজে যোগ করবো।

    আপনার আগ্রহ থাকলে আপনি মাঝে মাঝে এই পেইজে ভিজিট করতে পারেন।


    bbq party games ideas for adults এর বিশ্লেষনঃ

    SEMRush থেকে নেয়া কিছু তথ্যঃ

    • Volume 880
    • Keyword Difficulty 16%
    • Easy

    বর্তমানে গুগলের প্রথম পেইজে যারা র‍্যাঙ্ক করেঃ

    • owntheyard.com/bbq-party-games-ideas-for-adults/
    • smokeygrillbbq.com/bbq-party-game-for-adults/
    • groupgames101.com/bbq-party-games-ideas-for-adults/
    • smartyardguide.com/barbecue-party-games-ideas-for-adults/
    • igra-world.com/bbq-party-games-ideas/
    • pinterest.com/pin/755619643700797048/
    • yardsurfer.com/barbecue-party-games/
    • yardandgardenguru.com/bbq-party-games-ideas-for-adults/
    • whichtobuy.co.uk/bbq-party-games-for-adults/
    • farmfitliving.com/9-diy-summer-backyard-games-for-outdoor-picnics-and-bbqs/
      farmfitliving.com

    বিশ্লেষণঃ আমার মতেঃ স্পেনসার এই কিওয়ার্ডটি নির্বাচনের কারন

    • রিলেভেন্ট
    • লংটেইল
    • ইজি কম্পিটিশন
    • সার্চ ভলিয়ুম ভালো

    তবে অন্যতম কারন ছিলো সার্চ কম্পিটিশন ইজি ছিলো। এখনও যদি খেয়াল করেন তাহলে দেখতে পাবেন অধিকাংশই নিশ কনটেণ্ট সাইট। দুই একটা সোশ্যাল সাইট আছে। যে নিশ সাইট গুলো দেখতে পাচ্ছেন তাদের দুই একটা কে অনসরণ করে বানিয়েছে। একথা নিশ্চিত বলা যায় শুরুতে সার্চ রেজাল্ট আরো দূর্বল ছিল।

    আইডিয়াটা কোথায় পেলো আর সাইটের থিমের/আলোচনার বিষয়ের সাথে এই টপিকের সম্পর্ক –

    bbq party games ideas for adults এই কিওয়ার্ডটির সাথে সাইটের সম্পর্ক হলো এই প্রোগ্রামটি অবশ্যয় ইয়ার্ডে অথ্যাৎ বাড়ীর আঙ্গিনায় বা বাগানেও করা যায়। সম্পর্ক বলতে এই টুকুই। কোন না কোন সোর্স থেকে এই কিওয়ার্ডটি যখন পেলো তখন একটা এঙ্গেল তৈরি করে সাইটের মুল সাবজেক্টের সাথে একটা সম্পর্কে যোগ করে কিওয়ার্ডটি নিয়ে লিখেছে কারন স্পেনসার নিশ্চিত ছিল সে এই কিওয়ার্ডটি জন্য প্রথমেই র‍্যাঙ্ক করবে। এই ধরনের কিওয়ার্ড অবশ্যয় যে কোন সাইটের জন্য উইনিং কিওয়ার্ড।

    কোথা থেকে এই কিওয়ার্ডটি পেলো- সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

    বেশ কয়েক ভাবে পেতে পারে। কিছু ভালো ব্যাখ্যা প্রয়োজন। আমি এই নিয়ে আরো বিচার বিশ্লেষন করছি। শীগ্রই গুছিয়ে এই বিষয়ে এখানে লিখবো।


    লক্ষ্য করুনঃ পেইজটি নিয়মিত ভাবে আপডেট হবে। আপটেড বন্ধ হলে এই প্যারাগ্রাফটি উঠিয়ে দিবো।

  • ড্রোপড ডোমেইনে আমাজন এফিলিয়েট সাইট হতে পারে ফরচুন মেকার ( জেনে নিন কিভাবে)

    ড্রোপড ডোমেইনে আমাজন এফিলিয়েট সাইট হতে পারে ফরচুন মেকার ( জেনে নিন কিভাবে)

    আমাজন নিশ সাইট নিয়ে কাজ করছেন?

    কিংবা কাজ করার কথা ভাবছেন? জানতে চান র‍্যাঙ্কংয়ের জন্য এখনো গুগল কোন বিষয়টাকে বেশি গুরুত্ব দেয়?

    তাহলে আমি এমন দুইটি সাইটের বিষয় নিয়ে বলবো যারা রীতিমত মেগা সাকসেস পেয়েছে। যাদের সাফল্যের কারন জানতে পারলে আপনিও উপকৃত হতে পারবেন। আপনি আপনার বর্তমান সাইট ও ভবিষ্যত সাইটের জন্য স্ট্রাটেজি তৈরি করতে পারবেন।

    মজার বিষয় হলো এদের এই সাকসেস পাওয়ার ক্ষেত্রে তেমন কোন কস্ট করতে হয় নি। ছোট একটা স্ট্রাটেজি এতে এতো বড় সাফল্য এনে দিয়েছে।

    স্ট্রাটেজিটা হলো ড্রোপড ডোমেইনে নিশ সাইট তৈরি।

    আপনি হয়তো শুনেছেন যে ড্রোপড ডোমেইনে নিশ সাইট তৈরি করে। আমিও জানি। তবে আমি যে দুইটি সাইটের কথা বলছি তাদের যে সাফল্য এমন আমি অন্য সাইটের ক্ষেত্রে দেখিনি। কেমন সাফল্য? চলুন দেখে নেই।

    সাইট দুইটি হলোঃ

    • foodsharkmarfa.com
    • thearchitectsguide.com

    ফুড সার্ক মারফার মান্থলি ভিজিটির দুই লাখের বেশি আর আরকিটেক্ট গাইডের মান্থলি ভিজিটর সাড়ে তিন লাখের বেশি।

    এই দুই সাইটের উদ্যোক্তা আমি নিশ্চিত খুবই স্মার্ট ও দক্ষ। ভালো একটা ডোমেইন নির্বাচন করেই তারা তৈরি করে ফেললো তাদের ভাগ্য। সাধারন ভাবে বলা যায় যে সাইট সাড়ে তিন লাখ ভিজিটর পায় আর অধিকাংশই বায়িং কিওয়ার্ড দিয়ে সেই সাইট মাসে ৩০-৪০ হাজার ডলার আয় করে।

    এই সাফল্য পেতে তাদের অন্যদের মতো কস্ট করতে হয় নি। সাফাল্যও এসেছে খুব অল্প সময়ে। কি ছিলো সাফল্যের সেই রহস্য?

    এই দুইটি সাইটই করা হয়েছে ড্রোপড ডোমেইনের উপর। কেমন ছিলো এই ড্রোপড ডোমেইন গুলো? কেন এই সাইট গুলো এতো ভালো করছে। এই সব প্রশ্নের উত্তর খুজঁতে আমি যে এনালাইসিস করেছি তা এখানে রেকর্ড করছি।



    ভিডিওতে আমি আমার পর্যালোচনা করেছি। সংক্ষিপ্ত আকারে সাফল্যের কারন গুলো হলোঃ

    • স্ট্রং লিঙ্ক প্রোফাইল – যে লিঙ্ক প্রোফাইল কম্পিটিটর সাইট গুলোর নেই আর সহসা তৈরিরও সুযোগ নেই
    • কিওয়ার্ড সিলেকশন – সাইটের লিঙ্ক প্রোফাইলের সাথে সমন্বয় রেখে সেই কিওয়ার্ড গুলো তারা নির্বাচন করে যাদের সার্চ ভলিয়ম ভালো আর সহজেই তারা প্রথম পেইজে র‍্যাঙ্ক করবে। মজার বিষয় হলো অধিকাংশ কিওয়ার্ডের জন্যই তারা প্রথম পজিশনে র‍্যাঙ্ক করে।
    • লং ফরম কনটেণ্ট – অধিকাংশ কনটেণ্ট লং ফরম আর ডিটেইল। যেটা সমসাময়িক এসইওয়ের জন্য বেস্ট প্র্যাকটিস। প্রচুর কিওয়ার্ডের জন্য তাদের পেইজ গুলো র‍্যাঙ্ক করে
    • ফিয়েচারড স্পিনিপিটের জন্য অপটিমাইজ করা
    • অনপেইজ এসইও – কিওয়ার্ডের ব্যবহার, ইন্টারন্যাল লিঙ্ক, এক্সটারনাল লিঙ্ক, এলএসআই কিওয়ার্ড

    এছাড়াও আরো কিছু বিষয় আছে। আমি মেজর গুলো বললাম।

    আমরা এই এনালাইসিস কিভাবে কাজে লাগাতে পারিঃ

    • নেক্সট সাইট তৈরির ক্ষেত্রে দেখবো এমন লিঙ্ক প্রোফাইল সম্পন্ন কোন ডোমেইন পাওয়া যায় কিনা পেলে সেই ডোমেইনের উপর নিশ সাইট তৈরি করবো
    • বর্তমানে যে সাইট আছে তার লিঙ্ক প্রোফাইলকে নিশ অনুযায়ী তৈরি করবো। র‍্যান্ডম সাইট থেকে লিঙ্ক তৈরি করবো না।

    আশাকরি এনালাইসিসটি আপনার উপকারে আসবে। কেমন লাগলো সহ আপনার মন্তব্য কমেন্টে লিখুন। আর অনুরোধ রইলো লেখাটি অন্যদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

    জয়েন করুন বিডিএসই ফেসবুক গ্রুপে -যেখানে আমরা আলোচনা করি ডিজিটাল মার্কেটিং, অনলাইন বিজনেস ও ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার নিয়ে।

  • এক সাথে কয়েকজন মিলে বড় কিছু করার মানষিকতা তৈরি করুন

    অনলাইন বিজনেসকে কেন্দ্র করে প্রচুর স্টার্টআপ আছে যেই গুলো মার্কেটাররা তৈরি করেছে। এসইও, টুইটার, ফেসবুক কেন্দ্রিক অনেক টেকনলোজী কোম্পানি আছে।

    লরা মার্কেটার। সোশ্যাল মিডিয়া শিডিউলার সফটওয়্যার মিটগার তার একটা স্টার্টআপ।লরা ছিলো মার্কেটার। ক্লায়েন্টের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট ম্যানেজ করতো। তার আলাদা একটা সোশ্যাল মিডিয়া সিডিউলার দরকার হয়ে পড়ল। সে দেখলো তার মতো অনেক মার্কেটারের একই রকমের একটা টুলস দরকার। তার এই আইডিয়া থেকেই সে মিটগার তৈরি করলো।

    চমৎকার একটা বিষয় হলো এই স্টার্টআপের চালুর আগে সে প্রায় ১০ মিলিয়ন ফান্ড রেইজ করেছিলো।

    আমাদের গ্লোবালি যেমন সুযোগ আছে ঠিক তেমনি দেশীয় বাজারের জন্যও অনেক সুযোগ আছে। মানে টুলস, এসপস, প্লাগিন, সাস এপ্লিকেশন তৈরি করার।


    সমস্যা হলো কিভাবে এই স্টার্টআপ তৈরি করা যায় তা নিয়ে আমাদের এখানে খুব বেশি আলোচনা হয় না। ওয়েবেও পযার্প্ত কনটেণ্ট বাংলায় পাওয়া যায় না।

    আপনারা যদি খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন আমাদের দেশের অধিকাংশ অনলাইন প্রফেশনালদের অভিজ্ঞতা এখন ৫+ হয়েছে। অনেকের ১০ বছরের কাছাকাছি।

    মার্কেট ও স্কিল সম্পর্কে তাদের যথেস্ট নলেজ আছে।

    নিজের কথা যদি বলি এটা অনেক আগেই আমি ভেবেছি যে শুরুতেই যা করেছি এখনো তা করার মানে হয় না। শুরুতে আমার নলেজ ছিলো না, অভিজ্ঞতা ছিলো না। অনেকটা আন্দাজেই এই ইণ্ড্রস্ট্রিতে ঢুকা।

    এখন অনেক কিছু জানি। কি কিভাবে কাজ করে তা বুঝি। এখন এমন একটা স্টেপ নিতে হবে যা আগামী ১০ এমন কি তার বেশি বছর ধরে আমি করতে পারবো। যাতে আমি প্রতিনিয়ত রিইনভেস্ট করতে পারবো।

    আপনাদের ক্ষেত্রেও তাই। একই লেভেলে আটকে না থেকে আরো বিগার কিছু করার চিন্তা করতে হবে।

    বিগার কিছু একা করা খুব কঠিন।

    স্টার্টআপ নিয়ে পড়লে আপনারা বুঝতে পারবেন কিভাবে কয়েকজন মিলে একটা বড় অনেক বড় বিজনেস তৈরি করে।

    আমার জানা মতে আমাদের এখানে প্রচুর নিশ সাইট নিয়ে চেস্টা করেছে। শিখেছে অনেক কিছু। কোর্স করেছে। ওয়ার্কসপ করেছে। ১০০ জনে হয়তো ৫-১০ জন ভালো করেছে। কিন্তু অধিকাংশই ফেইল করেছে। এই ফেইল করাটা কোন বিষয় না। ফেইল নিয়ে সবাই যেটা বলে ফেইল করা মানে ব্যর্থ না। ফেইলে বড় প্রাপ্তি লেসন।

    এই লেসন ভ্যালুয়েবল এসেট। মানি মেইক করার জন্য। ক্যারিয়ার তৈরি করার জন্য।

    ফেইল শুধু নিজের কারনে করে না। বাস্তবতা চেঞ্জের কারনেও করে।

    এখন বাস্তবতা হলো ছোট ছোট নিশ সাইট কে কেন্দ্র করে ভালো করা কঠিন। লার্জ সাইট গুলো ভালো করছে। কারন এসইও চেঞ্জ। লার্জ সাইট তৈরি করা সময় আর অর্থের ব্যাপার। সাথে নলেজ।

    একা চেস্টা না করে ৫ জন মিলে একটা সাইট করার উদ্যোগ নিলে সফল হওয়ার চান্স অনেক বেড়ে যায়।

    সত্যি অর্থে কো-ফাউন্ডিং আমাদের এখানে খুবই চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু পড়াশুনা করলে এই বিষয়ে জানা থাকলে এটি খুবই সহজ হিসাব।

    এই নলেজ শুধু নিশ সাইট কেন্দ্রিক না প্রোডাক্ট অরিয়েণ্টেডও হতে পারে।

    এখন চিন্তাটা চেঞ্জ করতে হবে। একা বেশি দূর কেন হয়তো কিছু দূরও যাওয়া সম্ভব না। তাই যেতে হবে একত্রে কয়েকজনকে নিয়ে।

  • নিশ সাইট তৈরিঃ আগের মতো করে আদৌ সফল হওয়া যাবে?

    আজ সকালে একটা মিটিংয়ে কথা হচ্ছিলো একজন মার্কেটারের সাথে। তিনি বলছেন তিনি একটু হতাশ কারন বেশ কয়েক বছর চেস্টা করছে একটা প্রফিটেবল সাইট তৈরি করতে কিন্তু কখনই সফল হউন নাই। উনি মনে করছেন উনি যা করছেন তা ঠিক না।

    উনার আরো কিছু শিখতে হবে।

    ঢাকায় মিটআপে আমি এই কথাটাই বলেছিলাম যে আপনারা যারা এখনো ২০১২ সালের নিশ পারসুইটের স্ট্রাটেজি ফলো করে নিশ সাইট তৈরি করার চেস্টা করছেন তাদের সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।

    ২০১২ সালের গুগল এলগরিদম আর ২০১৯ সালের এলগরিদম একই না। আবার কম্পিটিশনও অনেক চেঞ্জ। তখন মাত্র কয়েকটা বড় রিভিও সাইট ছিলো যেমন টপটেনরিভিও, কনজিউমাররিপোর্টস ইত্যাদি।

    এখন এই মানের বহু সাইট রয়েছে।

    দ্যা সুইটহোম (ওয়ারকাটার) আলাদা একটা মডেলের রিভিও সাইট। তাদের সাফল্য দেখে অনেকেই একই মডেলে সাইট তৈরি করেছে।

    বড় বড় সাইট গুলোও এখন ছোট ছোট প্রোডাক্টকে নিয়েও রিভিও করে।

    অনেক ছোট সার্চ ভলিয়মের কিওয়ার্ড নিয়ে রিভিও লেখে।

    তাদের যে পরিমানে বাজেট থাকে তাতে এখন ৫০০/১০০০ ডলার ইনভেস্ট করে সাইট তৈরি করে সফল হওয়া অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং।

    এছাড়া গুগলের এলগরিদম এখন ভিন্ন। আগে লং টেইল কিওয়ার্ডকে টার্গেট করে র‍্যাঙ্ক করা গেলেও এখন ঠিক সেই ভাবে র‍্যাঙ্ক করা কঠিন।

    গুগলের EAT ফ্যাক্টর একটা সিগনাল দিচ্ছে যে কে কনটেণ্ট লিখছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।

    আরো মজার বিষয় হচ্ছে গ্রামাটিক্যাল এররো একটা নেগেটিভ র‍্যাঙ্ক ফ্যাক্টর। খুব হাই বাউন্স রেট একটা নেগেটিভ ফ্যাক্টর। ৫০০ ওয়ার্ডের আর্টিকেল ৫ ডলার কিংবা ১০ ডলার দিয়ে লিখে নিশ সাইট করার সুযোগ এখন নাই বললেই চলে।

    কোয়ালিটি কনটেণ্ট এখন থাকতেই হবে।

    লং ফরম কনটেণ্টই এখন স্টান্ডার্ড। গুগল লাইক করে। এছাড়া নানা রকম লং টেইল কিওয়ার্ড দিয়ে র‍্যাঙ্ক করার সুযোগ থাকে।

    আমার মতে এখন কেউ ১০০০০ ডলারের নিচে খরচ করার টার্গেট করলে ১০০ জনের মধ্যে ১ জন হয়তো সফল হবে। বাট সেটাও ফিউচারে রিস্ক থাকবে।

    রিসেন্ট ট্রেন্ড হলো টপ টেন প্রোডাক্টের রিভিও পেইজ গুলো মিনিমাম ৪০০০ ওয়ার্ড হয়। অনেক ক্ষেত্রে ৫০০০ ওয়ার্ড।

    ৫০০০ ওয়ার্ডের একটা কনটেণ্ট তৈরিতে খরচ কমপক্ষে ১৫০ ডলার।

    ১০০০০ ডলারের হয়তো ৬৬টা কনটেণ্ট পাবলিশ করা যাবে।

    লিঙ্ক সহ অন্য খরচ কোথা থেকে আসবে ?

    একটা কোয়ালিটি লিঙ্ক তৈরি করতে কমপক্ষ্যে ৫০ থেকে ৭০ ডলার লাগবে।

    খেয়াল করে দেখুন ১০,০০০ ডলারেও হচ্ছে না।

    লিঙ্ক তৈরির জন্য হয়তো ৩ থেকে ৪ হাজার ডলার বাজেট রাখতে হচ্ছে।

    এরপর যে আয় হবে তা যদি কারো সাইড ইঙ্কাম হয় তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু সাইটের আয় তার মূল ইঙ্কাম হলে একটু রিস্ক থাকে। কারন সাইট তৈরি করে আয় শুরু হলেও সব আয় নিজের জন্য ব্যয় করা যাবে না। সাইটের ক্রমাগত উন্নোয়নে ব্যয় করতে হবে।

    সব কিছু বিবেচনা করলে ৩০ থেকে ৪০ হাজার ডলার টার্গেট করতে হবে।

    এই টাকাও ওয়েস্ট হবে যদি নিচের বিষয় গুলোতে টপ লেভেলের দক্ষতা না থাকেঃ

    • কিওয়ার্ড রিসার্স ও টপিক সিলেশন
    • কনটেণ্ট ক্রিয়েশন
    • এসইও 
    • লিঙ্ক
    • সোশ্যাল ট্রাফিক জেনেরেশন
    • মনেটাইজেশন স্ট্রাটেজি

    সমস্যা হলো একা এতো টাকার রিস্ক নেয়া সম্ভব অনেকের ক্ষেত্রে সম্ভব হবে না। তাই আমার মতে একাধিক পার্টনার নিয়ে একটা ফান্ড তৈরি করে এগুতো হবে। এতে অনেক দিকে সুবিধা আছে। দেখা যায় একটা সাইট সফল করার জন্য অনেক সময় লাগে, অনেক স্কিল লাগে।

    একা সামলিয়ে উঠা সম্ভব না। একাধিক উদ্যোক্তা থাকলে একেকজন একটা অংশের দ্বায়িত্ব নিয়ে কাজ করলে বিষয় গুলো সহজ হয়।

    অনেক বাজেট নিয়ে সাইট তৈরি করার পর যদি ভালো না করে তাহলে কি হবে?

    কেউ ৫০,০০০ ডলার খরচ করে সাইট তৈরি করলে সেই সাইট থেকে ২ হাজার ডলার আয় হলেই তার কোন রিক্স থাকে না। কারন ২০০০ ডলার আয় হয় এমন সাইটের বিক্রয় মূল্য ৬০০০০ ডলার হবে।

    ৫০০০০ ডলার খরচ করলে আয়ের টার্গেট করা যদি মিনিমাম ৫ হাজার। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তার চেয়ে বেশি হবে।

    রিক্স এড়ানোর জন্য অনেক স্ট্রাটেজি নেয়া যায়। তবে একটা বিষয় আমি সাজেস্ট করবো সেটা হলো স্টার্টআপ গুলো কিভাবে তৈরি হয় সেই বিষয় গুলো নিয়ে পড়াশুনা করা।